নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সুদ নিচ্ছে উল্লেখ করে এটি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গতকাল মঙ্গলবার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ই-সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। গভর্নর বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে। সেবা করার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি, তবে কেন এতো উচ্চ চার্জ নেয়া হয়? ক্ষুদ্রঋণে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে হবে।’
লাভের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সুদ হার কমানোর বিকল্প নেই।’ সারা দেশে নিবন্ধিত প্রায় ৮৮১টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৭৪৭টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২২ হাজার শাখার মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলোর ঋণ আদায়ের হার ৯৮ ভাগের বেশি। দেশের তিন কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। পরিবারপ্রতি গড়ে চারজন ধরা হলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ অর্থাৎ দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষুদ্রঋণে সম্পৃক্ত রয়েছে।
এনজিওগুলোর জোট ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ জোগান আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষি এবং ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে। জিডিপিতে ক্ষুদ্রঋণের অবদান ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
সিডিএফের মতে, গ্রামীণ ও সেমি-আরবান অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, উৎপাদনশীল ও সেবা খাতে ক্ষুদ্র ও উদ্যোগ ঋণের ধারাবাহিক সরবরাহ না থাকলে দেশে বিদ্যমান দারিদ্র্য হারের সঙ্গে প্রায় ১৪ শতাংশ দারিদ্র্য যুক্ত হতো। কারণ ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে থাকে, যার সিংহভাগই গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হয়।
সবচেয়ে গরিব মানুষের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সুদ নিচ্ছে এনজিও
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ


























