ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র, ন্যায়বিচার চাইলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি। জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন জয়। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
এদিন বিকেল ৩টা ১৭ মিনিটে তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হন তিনি। সাক্ষ্য শেষে বিকেল ৪টায় আদালত হতে বের হয়ে চলে যান।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাক্ষ্যতে জয় বলেছেন, ‘দেশে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও মামলা হয়েছে। সেখানে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাক্টিটসহ কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে।’
পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমেরিকার মামলায়ও সজীব ওয়াজেদ জয় সাক্ষ্য দিয়েছেন।বাংলাদেশে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্র শফিক রেহমানের বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে। আদালতে তিনি ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হলেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র, ন্যায়বিচার চাইলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি। জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন জয়। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
এদিন বিকেল ৩টা ১৭ মিনিটে তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হন তিনি। সাক্ষ্য শেষে বিকেল ৪টায় আদালত হতে বের হয়ে চলে যান।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাক্ষ্যতে জয় বলেছেন, ‘দেশে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও মামলা হয়েছে। সেখানে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাক্টিটসহ কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে।’
পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমেরিকার মামলায়ও সজীব ওয়াজেদ জয় সাক্ষ্য দিয়েছেন।বাংলাদেশে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্র শফিক রেহমানের বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে। আদালতে তিনি ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হলেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।