ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলা করতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
তারা বাজারে সক্রিয় হলে ফ্লোরে আটকে থাকা ২০০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে ফিরবে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার খবরে পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলা করতে পারলে সামনে সুন্দর সময় আসবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, আইএমএফের বহুল প্রতীক্ষিত ঋণ পাওয়া এবং জুন ক্লোজিংয়ে কোম্পানিগুলো ভালো লভ্যাংশ দেওয়ায় বাজার ইতিবাচক হবে। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যা বাজারকে চাঙা করবে।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আতাউল্লাহ নাইম বলেন, একটার পর একটা সমস্যা লেগেই থাকে পুঁজিবাজারে। ব্যাংকের বিনিয়োগের হিসাব শেয়ারের ক্রয় মূল্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং দেশের রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে বিনিযোগকারীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তবে বহুল প্রতিক্ষিত আইএমএফের ঋণ পাওয়ার খবর এবং জুন ক্লোজিংয়ে সব কোম্পানি ভালো লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এদিকে দেশে আগামীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে যায় তা নিয়ে চিন্তিত বিনিয়োগকারীরা। তারপরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়লে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা ২০০ কোম্পানি লেনদেনে ফিরবে বলেও তিনি মনে করেন। ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাপারে আইএমএফ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন। এটা বাজার উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখবে বলেও তারা কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এটা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে খুব হিসাব করে নিতে হবে। যাতে করে বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। হুটহাট সিদ্ধান্ত বাজারকে ক্ষতি করে। তবে বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা চিন্তা ভাবনা করেই বাজারে বিনিয়োগ করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা

আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলা করতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
তারা বাজারে সক্রিয় হলে ফ্লোরে আটকে থাকা ২০০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে ফিরবে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার খবরে পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলা করতে পারলে সামনে সুন্দর সময় আসবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, আইএমএফের বহুল প্রতীক্ষিত ঋণ পাওয়া এবং জুন ক্লোজিংয়ে কোম্পানিগুলো ভালো লভ্যাংশ দেওয়ায় বাজার ইতিবাচক হবে। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যা বাজারকে চাঙা করবে।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আতাউল্লাহ নাইম বলেন, একটার পর একটা সমস্যা লেগেই থাকে পুঁজিবাজারে। ব্যাংকের বিনিয়োগের হিসাব শেয়ারের ক্রয় মূল্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং দেশের রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে বিনিযোগকারীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তবে বহুল প্রতিক্ষিত আইএমএফের ঋণ পাওয়ার খবর এবং জুন ক্লোজিংয়ে সব কোম্পানি ভালো লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এদিকে দেশে আগামীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে যায় তা নিয়ে চিন্তিত বিনিয়োগকারীরা। তারপরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়লে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা ২০০ কোম্পানি লেনদেনে ফিরবে বলেও তিনি মনে করেন। ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাপারে আইএমএফ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন। এটা বাজার উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখবে বলেও তারা কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এটা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে খুব হিসাব করে নিতে হবে। যাতে করে বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। হুটহাট সিদ্ধান্ত বাজারকে ক্ষতি করে। তবে বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা চিন্তা ভাবনা করেই বাজারে বিনিয়োগ করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।