ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

  • আপডেট সময় : ০১:০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়, যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এরপর অন্য আরেকটি ক্ষতিকর ওষুধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস-২০২২ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিডের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। যা শকুন রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে সব ওষুধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী। শাহাব উদ্দিন বলেন, শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞানভিত্তিক যে কোনো পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আসলে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে। পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর (২০১৬-২০২৫) মেয়াদি বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। এরইমধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। বাকি কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ৭ম ও ৮ম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। শকুনের ডানায় লাগানোর জন্য লাল-সবুজ পতাকার আদলে বিশেষ ট্যাগ তৈরি করা হয়েছে। এই উইং ট্যাগের পাশাপাশি এ বছর নতুন প্রযুক্তি- স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শকুনের গায়ে ট্যাগ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের শকুনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে, যা শকুন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সবার স্বার্থে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবশিষ্ট শকুন রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডশেনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এ বি এম সারোয়ার আলম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আপডেট সময় : ০১:০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২


নিজস্ব প্রতিবেদক : শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়, যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এরপর অন্য আরেকটি ক্ষতিকর ওষুধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস-২০২২ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিডের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। যা শকুন রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে সব ওষুধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী। শাহাব উদ্দিন বলেন, শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞানভিত্তিক যে কোনো পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আসলে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে। পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর (২০১৬-২০২৫) মেয়াদি বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। এরইমধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। বাকি কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ৭ম ও ৮ম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। শকুনের ডানায় লাগানোর জন্য লাল-সবুজ পতাকার আদলে বিশেষ ট্যাগ তৈরি করা হয়েছে। এই উইং ট্যাগের পাশাপাশি এ বছর নতুন প্রযুক্তি- স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শকুনের গায়ে ট্যাগ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের শকুনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে, যা শকুন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সবার স্বার্থে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবশিষ্ট শকুন রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডশেনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এ বি এম সারোয়ার আলম।