ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

৯/১১ হামলার ২০ বছর, ঐক্যের ডাক বাইডেনের

  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতকাল শনিবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর। ২০০১ সালের এই দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পাশাপাশি হামলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলে।
ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদার জঙ্গিরা ভয়াবহ ওই হামলা চালায়। এতে দুই হাজার ৯৭৭ জন প্রাণ হারান। আহত হন আরও ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর স্মরণকালে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশজুড়ে ওই সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের স্মরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছরের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে তিনি ভয়াবহ ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। একই সঙ্গে ওই হামলার পর জরুরি বিভাগের যেসব কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলাকে স্মরণ করে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যতই সময় পার হয়ে যাক না কেন, এই স্মৃতিগুলো সবকিছুকে যন্ত্রণাদায়কভাবেই ফিরিয়ে আনে যেন মনে হবে আপনি কয়েক সেকেন্ড আগেই এই খবর পেয়েছেন। ওই হামলার পর আমেরিকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয়, ক্ষোভ, সহিংসতা এবং বৈরী আচরণ করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তার মতে, মানুষের মধ্যে ঐক্যই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, আমরা এটা শিখেছি যে, ঐক্য এমন একটি জিনিস যাকে কখনওই ভাঙতে দেওয়া যাবে না।
আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ১৯ জঙ্গি চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জায়গায় আত্মঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ ওই হামলার পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরনের হামলা হওয়ার শঙ্কা কাটেনি। বরং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরো হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।
সেদিন দুটি প্লেন আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ারে। দুটি বিমানের লক্ষ্য ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। ওই হামলার ৫০ মিনিট না যেতেই তৃতীয় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে। আর চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলেতে একটি খালি মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে, স্থানীয় সময় শনিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্মরণ সভায় অংশ নেবেন। তিনি ৯/১১ হামলার তিনটি স্থান পরিদর্শন করবেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৯/১১ হামলার ২০ বছর, ঐক্যের ডাক বাইডেনের

আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতকাল শনিবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর। ২০০১ সালের এই দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পাশাপাশি হামলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলে।
ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদার জঙ্গিরা ভয়াবহ ওই হামলা চালায়। এতে দুই হাজার ৯৭৭ জন প্রাণ হারান। আহত হন আরও ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর স্মরণকালে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশজুড়ে ওই সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের স্মরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছরের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে তিনি ভয়াবহ ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। একই সঙ্গে ওই হামলার পর জরুরি বিভাগের যেসব কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলাকে স্মরণ করে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যতই সময় পার হয়ে যাক না কেন, এই স্মৃতিগুলো সবকিছুকে যন্ত্রণাদায়কভাবেই ফিরিয়ে আনে যেন মনে হবে আপনি কয়েক সেকেন্ড আগেই এই খবর পেয়েছেন। ওই হামলার পর আমেরিকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয়, ক্ষোভ, সহিংসতা এবং বৈরী আচরণ করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তার মতে, মানুষের মধ্যে ঐক্যই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, আমরা এটা শিখেছি যে, ঐক্য এমন একটি জিনিস যাকে কখনওই ভাঙতে দেওয়া যাবে না।
আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ১৯ জঙ্গি চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জায়গায় আত্মঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ ওই হামলার পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরনের হামলা হওয়ার শঙ্কা কাটেনি। বরং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরো হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।
সেদিন দুটি প্লেন আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ারে। দুটি বিমানের লক্ষ্য ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। ওই হামলার ৫০ মিনিট না যেতেই তৃতীয় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে। আর চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলেতে একটি খালি মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে, স্থানীয় সময় শনিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্মরণ সভায় অংশ নেবেন। তিনি ৯/১১ হামলার তিনটি স্থান পরিদর্শন করবেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।