ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

৯৮ ভরি সোনা লুটের মামলায় কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৮

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৯৮ ভরি সোনা লুটের মামলায় পুলিশের এক কনস্টেবলসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে ৫১ ভরি ৬ রতি সোনা, ১৫ লাখ টাকা ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-লালবাগ থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান (৪২), শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৮), মো. রহমান (৩২), উত্তম মজুমদার (৩৬), জাকির হোসেন (৩৮), মো. শরীফ (৩৬), আনন্দ পাল (২৭) ও নাহিদা নাহার (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুন ঘোষ (৪৮) ৯৮ ভরি ওজনের ৮টি সোনার বার নিয়ে মোটরসাইকেলে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্যে ছিল সেখানকার সোনার দোকানে বিভিন্ন গয়না তৈরি করা। কিন্তু তাঁতীবাজারে গিয়ে দোকান বন্ধ পান, ফলে বারগুলো নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার-সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতালের গলির রাস্তায় পৌঁছালে ডাকাত চক্রের সদস্যরা পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে বরুনের কাছে অবৈধ মালামাল আছে জানিয়ে তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন।
পুলিশ জানায়, ডাকাতেরা বরুনকে গাড়িতে তুলেই তাঁর চোখ–মুখ বেঁধে ফেলেন এবং মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁর কাছে থাকা সোনার বার, সোনা চালানের কাগজপত্র ও তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল এলাকার ফাঁকা স্থানে গিয়ে মাইক্রোবাস থেকে বরুনকে নামিয়ে দিয়ে ডাকাতেরা পালিয়ে যান। বরুন বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে দোকানমালিককে জানান। পরে ৩ সেপ্টেম্বর দোকানের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্তের শুরুতে কেরানীগঞ্জ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া, সাভার, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে গ্রেপ্তার করা ডাকাতের দেওয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত ৫১ ভরি ৬ রতি সোনা ও সোনা বিক্রয়ের ১৫ লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত সোনা ও টাকাপয়সা ডাকাতি করে থাকেন। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ হেল কাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দীন কবির ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

৯৮ ভরি সোনা লুটের মামলায় কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৮

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৯৮ ভরি সোনা লুটের মামলায় পুলিশের এক কনস্টেবলসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে ৫১ ভরি ৬ রতি সোনা, ১৫ লাখ টাকা ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-লালবাগ থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান (৪২), শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৮), মো. রহমান (৩২), উত্তম মজুমদার (৩৬), জাকির হোসেন (৩৮), মো. শরীফ (৩৬), আনন্দ পাল (২৭) ও নাহিদা নাহার (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুন ঘোষ (৪৮) ৯৮ ভরি ওজনের ৮টি সোনার বার নিয়ে মোটরসাইকেলে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্যে ছিল সেখানকার সোনার দোকানে বিভিন্ন গয়না তৈরি করা। কিন্তু তাঁতীবাজারে গিয়ে দোকান বন্ধ পান, ফলে বারগুলো নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার-সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতালের গলির রাস্তায় পৌঁছালে ডাকাত চক্রের সদস্যরা পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে বরুনের কাছে অবৈধ মালামাল আছে জানিয়ে তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন।
পুলিশ জানায়, ডাকাতেরা বরুনকে গাড়িতে তুলেই তাঁর চোখ–মুখ বেঁধে ফেলেন এবং মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁর কাছে থাকা সোনার বার, সোনা চালানের কাগজপত্র ও তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল এলাকার ফাঁকা স্থানে গিয়ে মাইক্রোবাস থেকে বরুনকে নামিয়ে দিয়ে ডাকাতেরা পালিয়ে যান। বরুন বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে দোকানমালিককে জানান। পরে ৩ সেপ্টেম্বর দোকানের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্তের শুরুতে কেরানীগঞ্জ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া, সাভার, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে গ্রেপ্তার করা ডাকাতের দেওয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত ৫১ ভরি ৬ রতি সোনা ও সোনা বিক্রয়ের ১৫ লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত সোনা ও টাকাপয়সা ডাকাতি করে থাকেন। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ হেল কাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দীন কবির ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ।