বিনোদন ডেস্ক : উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী এবং মঞ্চাভিনেতা। বাবার কাছে হাতেখড়ি হওয়ার পর ওস্তাদ আমানত আলী খাঁ সাহেবের কাছে তালিম নেন লতা।
শিশু বয়স থেকেই সংগীত প্রতিভা দিয়ে চমক দেখাতে শুরু করেন তিনি। দিনে দিনে লতা মঙ্গেশকর হয়ে উঠেছেন গানেরই সমার্থক এক শব্দ।
প্রায় এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় সিনেমার গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও নানা বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটিও তারই দখলে।
গতকাল মঙ্গলবার ছিল (২৮ সেপ্টেম্বর) এই কিংবদন্তীর জন্মদিন। এবারে তিনি ৯২ বছরে পা দিলেন।
ভারতীয় এই সুর-সম্রাজ্ঞী ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যবিত্ত মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতা। তার তিনবোন আশা ভোঁসলে, ঊষা মঙ্গেশকর, মীনা মঙ্গেশকর এবং ছোট ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।
এবারের জন্মদিন উদযাপন করতে চান না গানের পাখি লতা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘উদযাপনের কী আছে? করোনাভাইরাস আসার পরে এটি আমার দ্বিতীয় জন্মদিন। আমাদের জীবন বদলে গেছে। পরিবার ও প্রিয় মানুষেরা আমার সঙ্গে আছেন, এটাই সেরা উপহার প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই খুব দামী।’
প্রখ্যাত এ কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভাগ্যবতী। আমি চাই ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ভালবাসতে থাকুক। তাদের শুভকামনাতেই এতদূর আসতে পেরেছি।’
১৯৪৮ সালে ‘মজবুর’ সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পান লতা। সিনেমাটিতে ‘দিল মেরা তোড়া’ শিরোনামের গান গেয়েছিলেন তিনি। তবে আলোচনায় আসেন এরপরের বছর ‘মহল’ সিনেমায় ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি দিয়ে।
লতা মঙ্গেশকর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, এনটিআর জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরতœ’ লাভ করেছেন।
১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানের শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে স্থান পান। এছাড়া ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অফিসার দে লা দি’ অনারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
৯২ বছরে পা রেখে লতা মঙ্গেশকর বললেন, ‘আমি ভাগ্যবতী’
ট্যাগস :
৯২ বছরে পা রেখে লতা মঙ্গেশকর বললেন
জনপ্রিয় সংবাদ