ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

৮০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছে দেশবন্ধু গ্রুপ

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক ডেস্ক : দেশবন্ধু গ্রুপ চলতি বছর নতুন করে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এতে কর্মসংস্থান বেড়েছে আরও ২৫ শতাংশ। নতুন বছরে তাদের আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। গত শনিবার গ্রুপটির কারখানায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, দেশবন্ধু সুগার মিল, সাউথ ইস্ট সোয়েটার, জিএম অ্যাপারেলস, বেভারেজ, প্যাকেজিং, টেক্সটাইলসহ কয়েকটি কারখানায় নতুন এ বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বিনিয়োগ বাড়লেও আশানুরূপ উৎপাদন ও বিক্রি হয়নি। বিনিয়োগের পরই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্বে নেমে আসে বড় বিপর্যয়। শুরু হয় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা। একই সঙ্গে রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যায় ডলারের দাম। কমে যায় এলসি খোলা। এতে বড় ধাক্কা লাগে কাঁচামাল আমদানিতে। ফলে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমতে থাকে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয় জ্বালানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি। এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও কোনো কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখেনি দেশবন্ধু গ্রুপ। বন্ধ হয়নি ঋণের কিস্তি পরিশোধ। চাকরিও হারাননি কোনো শ্রমিক। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশবন্ধু গ্রুপের নরসিংদীর চরসিন্দুর পলাশ শিল্প এলাকায় সব কারখানায় উৎপাদন চলছে। এর মধ্যে দেশবন্ধু চিনিকলে উৎপাদন কাজে ব্যস্ত কয়েক হাজার শ্রমিক। চিনিকলটির বর্তমান দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ টনের বেশি। এ উৎপাদন দ্বিগুণ করতে শিগগিরই আরও বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। কর্মকর্তারা জানান, একই সঙ্গে এ বছর উত্তরবঙ্গে দেশবন্ধু সিমেন্ট কারখানা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।সার্বিক বিষয়ে দেশবন্ধু গ্রুপের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাকির হোসেন বলেন, তাঁদের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের পণ্য রপ্তানিনির্ভর। কিন্তু সাম্প্রতিক নানা কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান লোকসানের মুখে পড়েছে। তারপরও উৎপাদন সচল রাখার চেষ্টা চলছে। ১৯৮৯ সালে ট্রেডিং ও সার আমদানির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে দেশবন্ধু গ্রুপ। বর্তমানে পলিমার, সিমেন্ট, সোয়েটার, শিপিং, জিএম হোল্ডিংস, অটো রাইস মিলস, সিকিউরিটি সার্ভিসেস, ট্রেডিং কোম্পানি, পাওয়ার প্লান্ট, টেক্সটাইল, ফাইবার, কনজ্যুমার অ্যান্ড অ্যাগ্রো, হাসপাতাল, পার্সেল অ্যান্ড লজিস্টিকসসহ ৩৩ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে গ্রুপটির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ডিজির

৮০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছে দেশবন্ধু গ্রুপ

আপডেট সময় : ০১:৪০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

অর্থনৈতিক ডেস্ক : দেশবন্ধু গ্রুপ চলতি বছর নতুন করে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এতে কর্মসংস্থান বেড়েছে আরও ২৫ শতাংশ। নতুন বছরে তাদের আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। গত শনিবার গ্রুপটির কারখানায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, দেশবন্ধু সুগার মিল, সাউথ ইস্ট সোয়েটার, জিএম অ্যাপারেলস, বেভারেজ, প্যাকেজিং, টেক্সটাইলসহ কয়েকটি কারখানায় নতুন এ বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বিনিয়োগ বাড়লেও আশানুরূপ উৎপাদন ও বিক্রি হয়নি। বিনিয়োগের পরই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্বে নেমে আসে বড় বিপর্যয়। শুরু হয় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা। একই সঙ্গে রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যায় ডলারের দাম। কমে যায় এলসি খোলা। এতে বড় ধাক্কা লাগে কাঁচামাল আমদানিতে। ফলে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমতে থাকে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয় জ্বালানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি। এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও কোনো কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখেনি দেশবন্ধু গ্রুপ। বন্ধ হয়নি ঋণের কিস্তি পরিশোধ। চাকরিও হারাননি কোনো শ্রমিক। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশবন্ধু গ্রুপের নরসিংদীর চরসিন্দুর পলাশ শিল্প এলাকায় সব কারখানায় উৎপাদন চলছে। এর মধ্যে দেশবন্ধু চিনিকলে উৎপাদন কাজে ব্যস্ত কয়েক হাজার শ্রমিক। চিনিকলটির বর্তমান দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ টনের বেশি। এ উৎপাদন দ্বিগুণ করতে শিগগিরই আরও বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। কর্মকর্তারা জানান, একই সঙ্গে এ বছর উত্তরবঙ্গে দেশবন্ধু সিমেন্ট কারখানা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।সার্বিক বিষয়ে দেশবন্ধু গ্রুপের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাকির হোসেন বলেন, তাঁদের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের পণ্য রপ্তানিনির্ভর। কিন্তু সাম্প্রতিক নানা কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান লোকসানের মুখে পড়েছে। তারপরও উৎপাদন সচল রাখার চেষ্টা চলছে। ১৯৮৯ সালে ট্রেডিং ও সার আমদানির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে দেশবন্ধু গ্রুপ। বর্তমানে পলিমার, সিমেন্ট, সোয়েটার, শিপিং, জিএম হোল্ডিংস, অটো রাইস মিলস, সিকিউরিটি সার্ভিসেস, ট্রেডিং কোম্পানি, পাওয়ার প্লান্ট, টেক্সটাইল, ফাইবার, কনজ্যুমার অ্যান্ড অ্যাগ্রো, হাসপাতাল, পার্সেল অ্যান্ড লজিস্টিকসসহ ৩৩ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে গ্রুপটির।