ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

৮০০ কর্মী-স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে মশানিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসি

  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৮০০ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে মশানিধন এবং বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।

সকালে শুরু হওয়া এ অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশককর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি জোনে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
পরিচ্ছন্নতাকাজ চলাকালে ব্রিফিংয়ে মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিএসসিসি ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এ ছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে। নিজের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধন অভিযান চালানো হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রশাসক আরো বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা শহরকে নিয়ে তিনটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৯১৭ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডিস যে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলেন, সেখানে বলা হয়েছিল ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু বেসরকারি হাউজিং শুরু হওয়ার পরে ঢাকা থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে যেতে থাকলো। আমরা ঢাকার সবুজ ফিরিয়ে আনতে এ বছর বর্ষার শুরুতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করবো। অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র‌্যালিতে অংশ নেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সব বিভাগীয় প্রধান এবং ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৮০০ কর্মী-স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে মশানিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসি

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৮০০ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে মশানিধন এবং বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।

সকালে শুরু হওয়া এ অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশককর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি জোনে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
পরিচ্ছন্নতাকাজ চলাকালে ব্রিফিংয়ে মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিএসসিসি ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এ ছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে। নিজের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধন অভিযান চালানো হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রশাসক আরো বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা শহরকে নিয়ে তিনটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৯১৭ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডিস যে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলেন, সেখানে বলা হয়েছিল ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু বেসরকারি হাউজিং শুরু হওয়ার পরে ঢাকা থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে যেতে থাকলো। আমরা ঢাকার সবুজ ফিরিয়ে আনতে এ বছর বর্ষার শুরুতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করবো। অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র‌্যালিতে অংশ নেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সব বিভাগীয় প্রধান এবং ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ