ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের বঞ্চিত মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, “এই ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এটি যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে।”
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঐতিহাসিক এ ভাষণের বৈশ্বিক তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “এ ভাষণ সব দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। এ কারণেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এ ভাষণের তাৎপর্য অনুধাবন করে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ, লালন ও বিকাশ ঘটাতে হবে।”
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
আলোচনাসভার আগে সকালে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানম-ি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
৭ মার্চের ভাষণ যুগে যুগে অনুপ্রেরণা যোগাবে: ঢাবি উপাচার্য
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ