ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

৭০ কোটি টাকায় সেতু ৩ বছরে হয়নি সংযোগ সড়ক

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সংবাদদাতা : বরিশালের মুলাদীর আড়িয়াল খাঁ নদে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। তবে সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি স্থানীয়দের কাছে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুলাদী উপজেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রামারপোল এলাকায় এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণ শুরুর পর স্থানীয়দের আশা ছিল, এবার তারা সহজেই ঢাকা-বরিশাল যাওয়া-আসা করতে পারবে। তবে তিন বছর পরও সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের সে আশায় গুড়ে বালি। গাড়ি চলাচল তো দূর অস্ত, হেঁটেও পার হওয়া যাচ্ছে না সেতু। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের পরই নদীতে চলাচলের খেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বালুর বস্তা ও কংক্রিট ব্লক দিয়ে কোনোমতে চলাচল করছে। সেতুতে গাড়ি চলাচল না থাকায় রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। নাজিরপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, ‘সেতুটির সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটি নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। এত টাকা খরচ করে সেতু করা হলো, কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি কোনো কাজে আসছে না। সেতুর সংযোগ সড়কে বালু ফেলে রাখা হয়েছে। এতে চলাচল করা যায় না। আবার কোনো কোনো জায়গায় মাটি না থাকায় অনেক কষ্ট করে সেতুতে উঠতে হয়।’ এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী তানজিলুর রহমান বলেন, ‘সেতু নির্মাণের পরে কারিগরি সমস্যার কারণে সংযোগ সড়কে বালু দিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। পরে সেতুর পূর্বপ্রান্তে নদীর ভাঙন দেখা দেয়। সেতুটি রক্ষার জন্য ওই প্রান্তে একটি স্প্যান বাড়াতে হবে। পরে সংযোগ সড়কের কাজ করা হবে। এছাড়া সেতুটি হেঁটে চলার উপযোগী করার জন্য বালুর বস্তা দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।’ এলজিইডির বরিশাল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান, ‘সেতুর স্প্যান বাড়ানো এবং সংযোগ সড়কের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেতুর স্প্যান বৃদ্ধি ও সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৭০ কোটি টাকায় সেতু ৩ বছরে হয়নি সংযোগ সড়ক

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

বরিশাল সংবাদদাতা : বরিশালের মুলাদীর আড়িয়াল খাঁ নদে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। তবে সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি স্থানীয়দের কাছে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুলাদী উপজেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রামারপোল এলাকায় এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণ শুরুর পর স্থানীয়দের আশা ছিল, এবার তারা সহজেই ঢাকা-বরিশাল যাওয়া-আসা করতে পারবে। তবে তিন বছর পরও সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের সে আশায় গুড়ে বালি। গাড়ি চলাচল তো দূর অস্ত, হেঁটেও পার হওয়া যাচ্ছে না সেতু। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের পরই নদীতে চলাচলের খেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বালুর বস্তা ও কংক্রিট ব্লক দিয়ে কোনোমতে চলাচল করছে। সেতুতে গাড়ি চলাচল না থাকায় রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। নাজিরপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, ‘সেতুটির সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটি নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। এত টাকা খরচ করে সেতু করা হলো, কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি কোনো কাজে আসছে না। সেতুর সংযোগ সড়কে বালু ফেলে রাখা হয়েছে। এতে চলাচল করা যায় না। আবার কোনো কোনো জায়গায় মাটি না থাকায় অনেক কষ্ট করে সেতুতে উঠতে হয়।’ এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী তানজিলুর রহমান বলেন, ‘সেতু নির্মাণের পরে কারিগরি সমস্যার কারণে সংযোগ সড়কে বালু দিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। পরে সেতুর পূর্বপ্রান্তে নদীর ভাঙন দেখা দেয়। সেতুটি রক্ষার জন্য ওই প্রান্তে একটি স্প্যান বাড়াতে হবে। পরে সংযোগ সড়কের কাজ করা হবে। এছাড়া সেতুটি হেঁটে চলার উপযোগী করার জন্য বালুর বস্তা দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।’ এলজিইডির বরিশাল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান, ‘সেতুর স্প্যান বাড়ানো এবং সংযোগ সড়কের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেতুর স্প্যান বৃদ্ধি ও সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।’