ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

৬ লাখের বেশি একে-২০৩ রাইফেল পেতে রাশিয়া-ভারত চুক্তি

  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার তৈরি একে-২০৩ রাইফেল পেতে যাচ্ছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এ নিয়ে একটি চুক্তি করেছে দুই দেশ। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি রুপির ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতেই দুই দেশ যৌথভাবে একে-২০৩ রাইফেল উৎপাদন করবে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আলাদা একটি চুক্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, গত সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল সের্গেই সোইগুর একটি বৈঠক করেন। সেখানে চুক্তিগুলোয় স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় লাখের বেশি একে-২০৩ রাইফেল পাবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীগুলো। দেশটির উত্তর প্রদেশের আমেথির একটি কারখানায় রাইফেলগুলো উৎপাদন করা হবে।
এদিকে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলাদা একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অংশ নেন রাজনাথ সিং, সের্গেই সোইগুর, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। বেশ কয়েকটি ইস্যু ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে ওই বৈঠকে উল্লেখ করেন রাজনাথ সিং। এর মধ্যে একটি করোনা মহামারি। রাজনাথের ভাষ্য, প্রতিবেশী দেশের অস্বাভাবিক সামরিকীকরণ, অস্ত্রশস্ত্রের সম্প্রসারণ এবং ২০২০ সালে উত্তর সীমান্তে আগ্রাসন ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
একই সময়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও জনগণের সক্ষমতার মধ্য দিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে ভারত আত্মবিশ্বাসী। তবে প্রতিবেশী দেশটির নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
গতকালই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বার্ষিক বৈঠক উপলক্ষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দিল্লি সফরে এসেছেন। পুতিন বলেছেন, ভারত একটি বড় শক্তি, দীর্ঘদিনের ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধু। দুই দেশ জ্বালানি, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তির মতো বৈচিত্র্যময় খাতে একসঙ্গে কাজ করছে। আগামী দিনে প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার রোধ, সন্ত্রাসবাদ দমন, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফেরানোসহ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ‘অবদান’ অস্বীকারেই নাখোশ ট্রাম্প

৬ লাখের বেশি একে-২০৩ রাইফেল পেতে রাশিয়া-ভারত চুক্তি

আপডেট সময় : ১১:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার তৈরি একে-২০৩ রাইফেল পেতে যাচ্ছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এ নিয়ে একটি চুক্তি করেছে দুই দেশ। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি রুপির ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতেই দুই দেশ যৌথভাবে একে-২০৩ রাইফেল উৎপাদন করবে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আলাদা একটি চুক্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, গত সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল সের্গেই সোইগুর একটি বৈঠক করেন। সেখানে চুক্তিগুলোয় স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় লাখের বেশি একে-২০৩ রাইফেল পাবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীগুলো। দেশটির উত্তর প্রদেশের আমেথির একটি কারখানায় রাইফেলগুলো উৎপাদন করা হবে।
এদিকে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলাদা একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অংশ নেন রাজনাথ সিং, সের্গেই সোইগুর, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। বেশ কয়েকটি ইস্যু ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে ওই বৈঠকে উল্লেখ করেন রাজনাথ সিং। এর মধ্যে একটি করোনা মহামারি। রাজনাথের ভাষ্য, প্রতিবেশী দেশের অস্বাভাবিক সামরিকীকরণ, অস্ত্রশস্ত্রের সম্প্রসারণ এবং ২০২০ সালে উত্তর সীমান্তে আগ্রাসন ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
একই সময়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও জনগণের সক্ষমতার মধ্য দিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে ভারত আত্মবিশ্বাসী। তবে প্রতিবেশী দেশটির নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
গতকালই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বার্ষিক বৈঠক উপলক্ষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দিল্লি সফরে এসেছেন। পুতিন বলেছেন, ভারত একটি বড় শক্তি, দীর্ঘদিনের ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধু। দুই দেশ জ্বালানি, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তির মতো বৈচিত্র্যময় খাতে একসঙ্গে কাজ করছে। আগামী দিনে প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার রোধ, সন্ত্রাসবাদ দমন, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফেরানোসহ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে