ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ মিনিটের ঝড়ে আবাহনীর জয়

  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: প্রথমার্ধের মলিনতা মুছে ৬৫ থেকে ৭১ মিনিটের মধ্যে একের পর এক গোল করল আবাহনী। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে সহজে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হওয়ার পথে এগিয়ে গেল দলটি। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ফকিরেরপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। সফল স্পট কিকে ইয়াসিন খান এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাসান মুরাদ। অন্য গোলটি করেন মাহাদি ইউসুফ।

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইটা তাই জমে থাকল এই দুই দলের মধ্যেই। ৩ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্টই সমান ৯ করে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা; গ্রুপ সেরার ফয়সালাও হবে ওই ম্যাচে।

কুমিল্লায় প্রথমার্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি আবাহনী। অষ্টম মিনিটে আসাদুল্ মোল্লা বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে তালগোল পাকান। গোলমুখ থেকে তড়িৎ শটে ক্লিয়ার করেন ফকিরেরপুলের এক ডিফেন্ডার। ২৪তম মিনিটে ফকিরেরপুল দারুণ সুযোগ পায়। আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের ব্যাক পাস থেকে বলের নাগাল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন আকবির তুরায়েভ। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে বক্সে পড়ে যান তিনি, দ্রুত ছুটে গিয়ে বল গ্লাভসে জমান গোলকিপার। বিরতির পর স্বরূপে ফেরে আবাহনী। ৬৫তম মিনিটে ভাঙে ম্যাচের ডেডলকও। এনামুল গাজী ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ফাউলের শিকার হলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ইয়াসিন স্পট কিকে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন। আবাহনীর ঝড়ের শুরুটাও এখান থেকে।

তিন মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে চালকের আসনে বসে আবাহনী। বক্সের ভেতরে এনামুল গাজীর পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন মুরাদ। ৭১তম মিনিটে তৃতীয় গোলে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে আবাহনী। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে সমর্থকদের আবারও উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন মাহাদি ইউসুফ। ময়মনসিংহের ম্যাচে ৩২তম মিনিটে মোস্তফা মাহমুদের গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। পিছিয়ে পড়ার ছয় মিনিট পর চট্টগ্রাম আবাহনী আরেক ধাক্কা খায় সুজন মিয়া সরাসরি লালকার্ড দেখলে। দশ জনের দল নিয়ে তারা আর পেরে ওঠেনি দারুণ ছন্দে থাকা রহমতগঞ্জের সাথে। ৪২তম মিনিটে স্যামুয়েল বোয়াটেং ও ৭১তম মিনিটে ফাহিম নুর তোহার গোলে সহজ জয় তুলে নেয় পুরান ঢাকার দলটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬ মিনিটের ঝড়ে আবাহনীর জয়

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: প্রথমার্ধের মলিনতা মুছে ৬৫ থেকে ৭১ মিনিটের মধ্যে একের পর এক গোল করল আবাহনী। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে সহজে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হওয়ার পথে এগিয়ে গেল দলটি। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ফকিরেরপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। সফল স্পট কিকে ইয়াসিন খান এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাসান মুরাদ। অন্য গোলটি করেন মাহাদি ইউসুফ।

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইটা তাই জমে থাকল এই দুই দলের মধ্যেই। ৩ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্টই সমান ৯ করে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা; গ্রুপ সেরার ফয়সালাও হবে ওই ম্যাচে।

কুমিল্লায় প্রথমার্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি আবাহনী। অষ্টম মিনিটে আসাদুল্ মোল্লা বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে তালগোল পাকান। গোলমুখ থেকে তড়িৎ শটে ক্লিয়ার করেন ফকিরেরপুলের এক ডিফেন্ডার। ২৪তম মিনিটে ফকিরেরপুল দারুণ সুযোগ পায়। আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের ব্যাক পাস থেকে বলের নাগাল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন আকবির তুরায়েভ। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে বক্সে পড়ে যান তিনি, দ্রুত ছুটে গিয়ে বল গ্লাভসে জমান গোলকিপার। বিরতির পর স্বরূপে ফেরে আবাহনী। ৬৫তম মিনিটে ভাঙে ম্যাচের ডেডলকও। এনামুল গাজী ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ফাউলের শিকার হলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ইয়াসিন স্পট কিকে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন। আবাহনীর ঝড়ের শুরুটাও এখান থেকে।

তিন মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে চালকের আসনে বসে আবাহনী। বক্সের ভেতরে এনামুল গাজীর পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন মুরাদ। ৭১তম মিনিটে তৃতীয় গোলে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে আবাহনী। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে সমর্থকদের আবারও উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন মাহাদি ইউসুফ। ময়মনসিংহের ম্যাচে ৩২তম মিনিটে মোস্তফা মাহমুদের গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। পিছিয়ে পড়ার ছয় মিনিট পর চট্টগ্রাম আবাহনী আরেক ধাক্কা খায় সুজন মিয়া সরাসরি লালকার্ড দেখলে। দশ জনের দল নিয়ে তারা আর পেরে ওঠেনি দারুণ ছন্দে থাকা রহমতগঞ্জের সাথে। ৪২তম মিনিটে স্যামুয়েল বোয়াটেং ও ৭১তম মিনিটে ফাহিম নুর তোহার গোলে সহজ জয় তুলে নেয় পুরান ঢাকার দলটি।