ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

৬ বছর গবেষণার পর বাজারে আসছে যে ই-বাইক

  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে একের পর এক ই-বাইক আসছে বাজারে। ভবিষ্যৎ যে বৈদ্যুতিক গাড়ি তা ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যে কারণে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও ঝুঁকছে ই-গাড়ি নির্মাণে। ২০১৬ সালে ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল ঞ৬ঢ এর প্রোটোটাইপ ভার্সন উন্মোচন করেছিল ঞড়ৎশ।
ইযধৎধঃ ঋড়ৎমব-এর অধীনস্থ পুণের সংস্থাটি বুকিং নেওয়াও শুরু করেছিল। প্রথম দিনেই ১ হাজার বুকিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছিল ঞড়ৎশ ঞ৬ঢ ইলেকট্রিক বাইকটি। তবে সেই বাইক আর ডেলিভারি পাননি গ্রাহকরা। এরপর পেরিয়েছে দীর্ঘ ৬ বছর। সবাই ভুলেও গেছে ততদিনে সেই ই-বাইকের নাম।
তবে সেই ছাইচাপা স্মৃতিতে এক দমকা হাওয়া লাগলো ২০২১ সালে। ঞড়ৎশ ঞ৬ঢ ইলেকট্রিক বাইকটি আনুষ্ঠানিক লঞ্চ করা হবে বলে ঘোষণা আসে সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে তাও ধামাচাপা পড়ে যায় কয়েকদিনেই। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটতে চলেছে দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০২২ সালে।
ঝাচকচকে নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে একদম নয়া অবতারে ও নতুন নামে আসতে চলেছে ই-মোটরসাইকেলটি। ঞ৬ঢ এর পরিবর্তে এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে ঞড়ৎশ কৎধঃড়ং। এ মাসেই এটির ভার্চুয়াল লঞ্চ হবে, এরপরই টর্ক ক্র্যাটোস এর বুকিং নেওয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এরইমধ্যে ভারতের রাস্তায় একাধিকবার এটির টেস্ট রান করতে দেখা গিয়েছে। আসন্ন ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটির নতুন মডেলটিতে একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। যেমন এর ফ্রেম, কার্যকারিতা, ফিচার, এমনকি এর ব্যাটারি প্যাকেও। দেশিয় সংস্থা টর্কের তৈরি ঞওজঙঝ নামক অপারেটিং সিস্টেমের সহায়তায় চলবে এই বিদ্যুৎ চালিত মোটরবাইকটি।
তবে এর রেঞ্জ এবং ব্যাটারির সম্পূর্ণ চার্জের সময়কাল সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে এতে থাকবে এলইডি হেডলাইট, টেল লাইট, একটি নতুন ভার্সনের স্প্লিট সিট ইত্যাদি। টর্ক ক্র্যাটোসে দেওয়া হয়েছে সংস্থার তৈরি উন্নত ব্যাটারি এবং অ্যাক্সিয়াল ফ্লাক্স মোটর। পারফরমেন্সের দিক থেকে এটি ১৫০-১৬০ সিসি-র আইসিই ইঞ্জিনের কমিউটার মোটরবাইকগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।
২০১৬-তে বাইকটির ঘোষিত মূল্য ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে এবার এর দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রাখা হতে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। মূলত আর্থিক সঙ্কট, অন্যান্য সমস্যা এবং কোভিড মহামারির কারণে বাইকটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল সংস্থাটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬ বছর গবেষণার পর বাজারে আসছে যে ই-বাইক

আপডেট সময় : ০৯:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে একের পর এক ই-বাইক আসছে বাজারে। ভবিষ্যৎ যে বৈদ্যুতিক গাড়ি তা ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যে কারণে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও ঝুঁকছে ই-গাড়ি নির্মাণে। ২০১৬ সালে ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল ঞ৬ঢ এর প্রোটোটাইপ ভার্সন উন্মোচন করেছিল ঞড়ৎশ।
ইযধৎধঃ ঋড়ৎমব-এর অধীনস্থ পুণের সংস্থাটি বুকিং নেওয়াও শুরু করেছিল। প্রথম দিনেই ১ হাজার বুকিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছিল ঞড়ৎশ ঞ৬ঢ ইলেকট্রিক বাইকটি। তবে সেই বাইক আর ডেলিভারি পাননি গ্রাহকরা। এরপর পেরিয়েছে দীর্ঘ ৬ বছর। সবাই ভুলেও গেছে ততদিনে সেই ই-বাইকের নাম।
তবে সেই ছাইচাপা স্মৃতিতে এক দমকা হাওয়া লাগলো ২০২১ সালে। ঞড়ৎশ ঞ৬ঢ ইলেকট্রিক বাইকটি আনুষ্ঠানিক লঞ্চ করা হবে বলে ঘোষণা আসে সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে তাও ধামাচাপা পড়ে যায় কয়েকদিনেই। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটতে চলেছে দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০২২ সালে।
ঝাচকচকে নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে একদম নয়া অবতারে ও নতুন নামে আসতে চলেছে ই-মোটরসাইকেলটি। ঞ৬ঢ এর পরিবর্তে এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে ঞড়ৎশ কৎধঃড়ং। এ মাসেই এটির ভার্চুয়াল লঞ্চ হবে, এরপরই টর্ক ক্র্যাটোস এর বুকিং নেওয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এরইমধ্যে ভারতের রাস্তায় একাধিকবার এটির টেস্ট রান করতে দেখা গিয়েছে। আসন্ন ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটির নতুন মডেলটিতে একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। যেমন এর ফ্রেম, কার্যকারিতা, ফিচার, এমনকি এর ব্যাটারি প্যাকেও। দেশিয় সংস্থা টর্কের তৈরি ঞওজঙঝ নামক অপারেটিং সিস্টেমের সহায়তায় চলবে এই বিদ্যুৎ চালিত মোটরবাইকটি।
তবে এর রেঞ্জ এবং ব্যাটারির সম্পূর্ণ চার্জের সময়কাল সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে এতে থাকবে এলইডি হেডলাইট, টেল লাইট, একটি নতুন ভার্সনের স্প্লিট সিট ইত্যাদি। টর্ক ক্র্যাটোসে দেওয়া হয়েছে সংস্থার তৈরি উন্নত ব্যাটারি এবং অ্যাক্সিয়াল ফ্লাক্স মোটর। পারফরমেন্সের দিক থেকে এটি ১৫০-১৬০ সিসি-র আইসিই ইঞ্জিনের কমিউটার মোটরবাইকগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।
২০১৬-তে বাইকটির ঘোষিত মূল্য ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে এবার এর দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রাখা হতে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। মূলত আর্থিক সঙ্কট, অন্যান্য সমস্যা এবং কোভিড মহামারির কারণে বাইকটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল সংস্থাটি।