ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দিল্লির দূষণের মাত্রা

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের সরকারি হিসেব অনুযায়ী অন্তত গত ছয় বছরের মধ্যে এবছরের নভেম্বরে রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ ছিলো। ২০১৬ সালের নভেম্বরে দশ দিন দিল্লিতে ‘তীব্র’ দূষণ থাকলেও এবছর তা ছিলো ১১ দিন। হিসেবে আরও দেখা গেছে, এই মাসে একদিনের জন্যেও ‘ভালো’ বাতাসের দিন পায়নি দিল্লির বাসিন্দারা।
দিল্লিতে নভেম্বরে আশঙ্কাজনক মাত্রার দূষণের জন্য প্রতিবেশি রাজ্যগুলোতে খড় পোড়ানো এবং দিওয়ালি উৎসবকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড যখন বাতাসের মানের তথ্যের হিসেব রাখা শুরু করে তখন দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি দূষণ দেখা যায়। বাতাসের মানের পূর্বাভাস দেওয়া সংস্থা এসএএফএআর এর প্রতিষ্ঠাতা ড. গুফরান বেগ বলেন দীর্ঘায়িত হওয়া বৃষ্টিপাতের মৌসুমের কারণে খড় পোড়াতে দেরি হয়েছে আর নভেম্বরে ছিলো দিওয়ালি। তিনি বলেন, ‘এগুলোই গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর নভেম্বরে বাতাসের মান সবচেয়ে বাজে হওয়ার মূল কারণ।’
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার স্যাটেলাইটের তথ্য অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে খড় পোড়ানোর ৯০ হাজার ৯৮৪টি আগুন দেখা গেছে। জ্বালানি, পরিবেশ এবং পানি বিষয়ক কাউন্সিল (সিইইডব্লিউ) এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক এ ধরনের আগুনের ঘটনা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাজি পুড়িয়ে দিওয়ালি উৎসব পালনের পরও দিল্লির বাতাসের মান খারাপ হয়ে যায়। নতুন ফসল চাষ করতে খেতেই খড় পুড়িয়ে দেয় ভারতের কৃষকেরা। বাতাসের মান ঠিক রাখতে খড় পোড়ানো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলেও এর বাস্তবায়ন ও তদারকি দুর্বল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দিল্লির দূষণের মাত্রা

আপডেট সময় : ১২:০৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের সরকারি হিসেব অনুযায়ী অন্তত গত ছয় বছরের মধ্যে এবছরের নভেম্বরে রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ ছিলো। ২০১৬ সালের নভেম্বরে দশ দিন দিল্লিতে ‘তীব্র’ দূষণ থাকলেও এবছর তা ছিলো ১১ দিন। হিসেবে আরও দেখা গেছে, এই মাসে একদিনের জন্যেও ‘ভালো’ বাতাসের দিন পায়নি দিল্লির বাসিন্দারা।
দিল্লিতে নভেম্বরে আশঙ্কাজনক মাত্রার দূষণের জন্য প্রতিবেশি রাজ্যগুলোতে খড় পোড়ানো এবং দিওয়ালি উৎসবকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড যখন বাতাসের মানের তথ্যের হিসেব রাখা শুরু করে তখন দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি দূষণ দেখা যায়। বাতাসের মানের পূর্বাভাস দেওয়া সংস্থা এসএএফএআর এর প্রতিষ্ঠাতা ড. গুফরান বেগ বলেন দীর্ঘায়িত হওয়া বৃষ্টিপাতের মৌসুমের কারণে খড় পোড়াতে দেরি হয়েছে আর নভেম্বরে ছিলো দিওয়ালি। তিনি বলেন, ‘এগুলোই গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর নভেম্বরে বাতাসের মান সবচেয়ে বাজে হওয়ার মূল কারণ।’
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার স্যাটেলাইটের তথ্য অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে খড় পোড়ানোর ৯০ হাজার ৯৮৪টি আগুন দেখা গেছে। জ্বালানি, পরিবেশ এবং পানি বিষয়ক কাউন্সিল (সিইইডব্লিউ) এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক এ ধরনের আগুনের ঘটনা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাজি পুড়িয়ে দিওয়ালি উৎসব পালনের পরও দিল্লির বাতাসের মান খারাপ হয়ে যায়। নতুন ফসল চাষ করতে খেতেই খড় পুড়িয়ে দেয় ভারতের কৃষকেরা। বাতাসের মান ঠিক রাখতে খড় পোড়ানো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলেও এর বাস্তবায়ন ও তদারকি দুর্বল।