ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

৬ দিন খেলার পর আবহাওয়াকেই দুষলেন কোহলি

  • আপডেট সময় : ১০:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : আবহাওয়ার প্র্বূাভাস আগে থেকেই ছিল যে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাউদাম্পটনের এজবাস্টনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এ কারণে একদিন বেশি বরাদ্ধ করেছিল আইসিসি। রিজার্ভ ডে হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল বাড়তি একদিনকে।
কিন্তু টেস্টের প্রথম দিনই পুরোটা গেল বৃষ্টির পেটে। পরের দিন টস হয়ে খেলা শুরু হলেও বৃষ্টি বারবার এসে বাগড়া দিয়েছিল। খেলার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছিল।
কিন্তু এত সময় নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও টেস্ট বাঁচাতে পারলো না বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যেতে হয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। পরাজয়ের পর ভারতীয়দের সব ক্ষোভ গিয়ে আছড়ে পড়লো আবহাওয়ার ওপর। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আবহাওয়াকেই দোষারোপ করলেন তাদের পরাজয়ের কারণ হিসেবে।
বিরাট কোহলির স্পষ্ট দাবি, ম্যাচে বারবার বাধা সৃষ্টি না হলে প্রথম ইনিংসে ভারত আরও বেশি রান তুলতে পারত এবং ম্যাচের ফল ভিন্নরকমই হতে পারতো। যদিও ম্যাচ বাঁচানোর সুযোগ ছিল বলে প্রকারান্তরে মেনে নিলেন বিরাট। তিনি দাবি করেন, ম্যাচ বাঁচাতে শেষ ইনিংসে আরও ৩০-৪০ রান বেশি করা দরকার ছিল ভারতের।
কোহলি অবশ্য প্রথমবার টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া নিউজিল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি। তিনি স্বীকার করে নেন, যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহলি বলেন, ‘শুরুতেই কেন ও গোটা নিউজিল্যান্ড দলকে অনেক অভিনন্দন। ওরা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে এবং কার্যত তিনদিনে ম্যাচের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে করে নিয়েছে। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে আমাদের চাপে ফেলেছে। জয়টা ওদের প্রাপ্য ছিল।’
পরে ভারত অধিনায়ক আবহাওয়াকে দোষারোপ করে বলেন, ‘প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যায়। এরপর যখন ম্যাচ শুরু হয়, ছন্দ খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। আমরা মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়েছিলাম। যদি বারবার ম্যাচে বাধা তৈরি না হতো, তবে আমরা আরও বেশি রান তুলতে পারতাম। আজ কিউই বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করে আমাদের কোণঠাসা করেছে। আমাদের সম্ভবত আরও ৩০-৪০ রান বেশি করা দরকার ছিল।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৬ দিন খেলার পর আবহাওয়াকেই দুষলেন কোহলি

আপডেট সময় : ১০:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : আবহাওয়ার প্র্বূাভাস আগে থেকেই ছিল যে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাউদাম্পটনের এজবাস্টনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এ কারণে একদিন বেশি বরাদ্ধ করেছিল আইসিসি। রিজার্ভ ডে হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল বাড়তি একদিনকে।
কিন্তু টেস্টের প্রথম দিনই পুরোটা গেল বৃষ্টির পেটে। পরের দিন টস হয়ে খেলা শুরু হলেও বৃষ্টি বারবার এসে বাগড়া দিয়েছিল। খেলার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছিল।
কিন্তু এত সময় নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও টেস্ট বাঁচাতে পারলো না বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যেতে হয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। পরাজয়ের পর ভারতীয়দের সব ক্ষোভ গিয়ে আছড়ে পড়লো আবহাওয়ার ওপর। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আবহাওয়াকেই দোষারোপ করলেন তাদের পরাজয়ের কারণ হিসেবে।
বিরাট কোহলির স্পষ্ট দাবি, ম্যাচে বারবার বাধা সৃষ্টি না হলে প্রথম ইনিংসে ভারত আরও বেশি রান তুলতে পারত এবং ম্যাচের ফল ভিন্নরকমই হতে পারতো। যদিও ম্যাচ বাঁচানোর সুযোগ ছিল বলে প্রকারান্তরে মেনে নিলেন বিরাট। তিনি দাবি করেন, ম্যাচ বাঁচাতে শেষ ইনিংসে আরও ৩০-৪০ রান বেশি করা দরকার ছিল ভারতের।
কোহলি অবশ্য প্রথমবার টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া নিউজিল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি। তিনি স্বীকার করে নেন, যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহলি বলেন, ‘শুরুতেই কেন ও গোটা নিউজিল্যান্ড দলকে অনেক অভিনন্দন। ওরা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে এবং কার্যত তিনদিনে ম্যাচের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে করে নিয়েছে। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে আমাদের চাপে ফেলেছে। জয়টা ওদের প্রাপ্য ছিল।’
পরে ভারত অধিনায়ক আবহাওয়াকে দোষারোপ করে বলেন, ‘প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যায়। এরপর যখন ম্যাচ শুরু হয়, ছন্দ খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। আমরা মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়েছিলাম। যদি বারবার ম্যাচে বাধা তৈরি না হতো, তবে আমরা আরও বেশি রান তুলতে পারতাম। আজ কিউই বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করে আমাদের কোণঠাসা করেছে। আমাদের সম্ভবত আরও ৩০-৪০ রান বেশি করা দরকার ছিল।’