ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

৬ ডিসেম্বর মুখর হয়ে ওঠে ফেনী শহর

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ফেনী সংবাদদাতা: ৬ ডিসেম্বর বুধবার ছিল ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীকে হটিয়ে ফেনীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন সকাল থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন ২নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে দলে দলে ফেনী শহরে প্রবেশ করে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে শুরু করেন। ফেনী শহরবাসী ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া দেখেছিল। ফলে সকালে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান শুনে অনেকেই হকচকিত হয়ে ওঠেন এবং অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের এ শ্লোগান প্রথম বিশ্বাসই করতে পারেননি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে দেখতে পান। তখন লোকজনের ভুল ভাঙতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষও মিছিলে যোগ দিতে শুরু করেন। গগনবিদারী শ্লোগানে এক পর্যায়ে ফেনী শহর হয়ে ওঠে মিছিলের নগরী। দিনটি স্মরণ করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের তাহের বলেন, সেদিন অনেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না ফেনী মুক্ত হয়ে গেছে। এর আগেও পাকিস্তানিদের সহযোগীরা এমন বিজয় মিছিলের মত করে মুক্তিকামীদের বের করত এবং চিহ্নিত করত। মানুষ যখন বুঝতে পারলো প্রকৃতপক্ষেই ফেনী মুক্ত হয়েছে তখন আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে জনপদে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন বলেন, যারা সেদিনের আনন্দ দেখেনি তারা কল্পনাও করতে পারবে না ওইদিন মুক্তির উচ্ছ্বাসের কেমন ঢেউ খেলেছিল ফেনী শহরে। মুক্তিকামী মানুষ সেদিন নেমে পড়েছিল রাস্তায়। উল্লাসে মেতে ছিল সবাই।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬ ডিসেম্বর মুখর হয়ে ওঠে ফেনী শহর

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ফেনী সংবাদদাতা: ৬ ডিসেম্বর বুধবার ছিল ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীকে হটিয়ে ফেনীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন সকাল থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন ২নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে দলে দলে ফেনী শহরে প্রবেশ করে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে শুরু করেন। ফেনী শহরবাসী ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া দেখেছিল। ফলে সকালে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান শুনে অনেকেই হকচকিত হয়ে ওঠেন এবং অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের এ শ্লোগান প্রথম বিশ্বাসই করতে পারেননি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে দেখতে পান। তখন লোকজনের ভুল ভাঙতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষও মিছিলে যোগ দিতে শুরু করেন। গগনবিদারী শ্লোগানে এক পর্যায়ে ফেনী শহর হয়ে ওঠে মিছিলের নগরী। দিনটি স্মরণ করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের তাহের বলেন, সেদিন অনেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না ফেনী মুক্ত হয়ে গেছে। এর আগেও পাকিস্তানিদের সহযোগীরা এমন বিজয় মিছিলের মত করে মুক্তিকামীদের বের করত এবং চিহ্নিত করত। মানুষ যখন বুঝতে পারলো প্রকৃতপক্ষেই ফেনী মুক্ত হয়েছে তখন আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে জনপদে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন বলেন, যারা সেদিনের আনন্দ দেখেনি তারা কল্পনাও করতে পারবে না ওইদিন মুক্তির উচ্ছ্বাসের কেমন ঢেউ খেলেছিল ফেনী শহরে। মুক্তিকামী মানুষ সেদিন নেমে পড়েছিল রাস্তায়। উল্লাসে মেতে ছিল সবাই।