ক্রীড়া ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা ছাড়ার কথা মুস্তাফিজুর রহমানের। এর আগে জানা গেল বড় একটি খবর। আইপিএলের বাকি অংশের জন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসারকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এই খবর জানায় আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
দিল্লি ক্যাপিটালসও সামাজিক মাধ্যমে স্বাগত জানায় বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে। জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের বদলি হিসেবে তাকে নিয়েছে দিল্লি। আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর দেশে ফিরে যাওয়া ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক আর ফিরছেন না ভারতে।
গত আসরে চমক দেখানো তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানকে ৯ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছিল দিল্লি।
মুস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য ছিল এবার ২ কোটি রুপি। তবে নিলামে তাকে নেয়নি কোনো দল। এখন তাকে পেতে দিল্লির খরচ পড়ছে ৬ কোটি রুপি।
মুস্তাফিজের নিজের তো বটেই, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের আইপিএলে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক এটিই। ২০০৯ আইপিএলে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ৬ লাখ ডলারে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইর্ডাস। সেই সময়ের বাজারদর অনুযায়ী অঙ্কটি মুস্তাফিজের এখনকার পারিশ্রমিকের চেয়ে অনেক কম।
তবে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও তার খেলা নিয়ে সংশয় আছে প্রবল। আগামী শনি ও সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শারজাহতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের।
এরপর বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর আছে সূচিতে। সেই সফরটি যদি হয়, তাহলে মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার বাস্তব সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। পাকিস্তান সফর না হলে অবশ্য ফাঁকা সময়ে সুযোগটি থাকবে।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বার্তা পায়নি তারা। বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত আইপিএলে যেতে পারলে দিল্লিতে এবার নিয়ে তৃতীয়বার খেলবেন মুস্তাফিজ।
২০২২ ও ২০২৩ আসরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেন মুস্তাফিজ। দুই আসর মিলিয়ে ১০ ম্যাচে তিনি নেন ৯ উইকেট। পরের বছর তাকে দলে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। টুর্নামেন্টের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন তিনি।
এর আগে ২০১৬ সাষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে শুরু করে নানা সময়ে রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেও খেলেছেন স্লোয়ার ও কাটারের জন্য পরিচিতি এই বাঁহাতি পেসার। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ১১ ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে আছে দিল্লি।
প্লে-অফে জায়গা পেতে বাকি তিন ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য।