ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

৬৮ বছর পর এল যে চিঠি …

  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : একটি চিঠি। তাতে লেখা রয়েছে এক নবজাতকের জন্মের খবর। পরিবারে নতুন অতিথি আসার সুসংবাদ মা-বাবাকে জানিয়ে চিঠিটি লিখেছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু সেই চিঠি আর প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছেনি। আটলান্টিক পেরিয়ে যখন চিঠিটি প্রাপকের দরজায় পৌঁছাল, তত দিনে ৬৮ বছর পেরিয়ে গেছে। চিরবিদায় নিয়েছেন চিঠির প্রাপক।
অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স২১ নিউজের এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিনেসোটার বাসিন্দা সুসান নরডিন নামের এক নারীর ঠিকানায় একটি চিঠি আসে। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন থেকে চিঠিটি পোস্ট করা হয়েছিল ৬৮ বছর আগে, ১৯৫৩ সালে। লেখা হয়েছিল মিনেসোটায় এডওয়ার্ড নেলসন দম্পতির কাছে। লিখেছিলেন তাঁদের মেয়ে ও তাঁর স্বামী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন সুসান যেই বাড়িতে বসবাস করেন, সেখানেই থাকতেন নেলসন দম্পতি। পরে তাঁদের মেয়ে বাড়িটি বিক্রি করে দেন। চিঠি পেয়ে সুসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এর প্রাপককে খুঁজতে শুরু করেন। মরগান পার্ক কমিউনিটির ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন তিনি। জানতে পারেন, চিঠির প্রাপক মারা গেছেন। তবে সুসান সন্ধান পান ওই চিঠির প্রাপকের নাতনি কোনি অ্যান্ডারহোলমের। অ্যান্ডারহোলম এখন ওহাইওতে বাস করেন। পরে তাঁর হাতে পুরোনো এই চিঠিটি তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনি অ্যান্ডারহোলম জানান, তখন বাবা কর্মসূত্রে জার্মানিতে থাকতেন। স্ত্রীকে নিয়ে কোপেনহেগেনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জন্ম নেয় ওই দম্পতির ছেলে জিমি। সন্তান জন্মের সুখবর জানিয়ে আটলান্টিকের ওপার থেকে মা–বাবাকে চিঠি লিখেন তাঁরা। সেই চিঠি এত দিন পর প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছেছে।
চিঠির প্রাপক এডওয়ার্ড নেলসন দম্পতি শুধু নন, যাঁর জন্মের পর এই চিঠি লেখা হয়েছিল, সেই জিমিও সম্প্রতি মারা গেছেন। ভাইকে নিয়ে কোনি অ্যান্ডারহোলম বলেন, গত আগস্টে তিনি মারা গেছেন। বেঁচে থাকলে আমরা তাঁকে এই চিঠির কথা জানাতে পারতাম। এটা দেখাতে পারতাম। এত বছরের পুরোনো এই চিঠি আমাকে নস্টালজিক করে তুলেছে।
তবে প্রায় সাত দশক ধরে চিঠিটি কোথায় ছিল, এত দিন প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছায়নি কেন—এমন নানা প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬৮ বছর পর এল যে চিঠি …

আপডেট সময় : ১২:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : একটি চিঠি। তাতে লেখা রয়েছে এক নবজাতকের জন্মের খবর। পরিবারে নতুন অতিথি আসার সুসংবাদ মা-বাবাকে জানিয়ে চিঠিটি লিখেছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু সেই চিঠি আর প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছেনি। আটলান্টিক পেরিয়ে যখন চিঠিটি প্রাপকের দরজায় পৌঁছাল, তত দিনে ৬৮ বছর পেরিয়ে গেছে। চিরবিদায় নিয়েছেন চিঠির প্রাপক।
অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স২১ নিউজের এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিনেসোটার বাসিন্দা সুসান নরডিন নামের এক নারীর ঠিকানায় একটি চিঠি আসে। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন থেকে চিঠিটি পোস্ট করা হয়েছিল ৬৮ বছর আগে, ১৯৫৩ সালে। লেখা হয়েছিল মিনেসোটায় এডওয়ার্ড নেলসন দম্পতির কাছে। লিখেছিলেন তাঁদের মেয়ে ও তাঁর স্বামী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন সুসান যেই বাড়িতে বসবাস করেন, সেখানেই থাকতেন নেলসন দম্পতি। পরে তাঁদের মেয়ে বাড়িটি বিক্রি করে দেন। চিঠি পেয়ে সুসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এর প্রাপককে খুঁজতে শুরু করেন। মরগান পার্ক কমিউনিটির ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন তিনি। জানতে পারেন, চিঠির প্রাপক মারা গেছেন। তবে সুসান সন্ধান পান ওই চিঠির প্রাপকের নাতনি কোনি অ্যান্ডারহোলমের। অ্যান্ডারহোলম এখন ওহাইওতে বাস করেন। পরে তাঁর হাতে পুরোনো এই চিঠিটি তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনি অ্যান্ডারহোলম জানান, তখন বাবা কর্মসূত্রে জার্মানিতে থাকতেন। স্ত্রীকে নিয়ে কোপেনহেগেনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জন্ম নেয় ওই দম্পতির ছেলে জিমি। সন্তান জন্মের সুখবর জানিয়ে আটলান্টিকের ওপার থেকে মা–বাবাকে চিঠি লিখেন তাঁরা। সেই চিঠি এত দিন পর প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছেছে।
চিঠির প্রাপক এডওয়ার্ড নেলসন দম্পতি শুধু নন, যাঁর জন্মের পর এই চিঠি লেখা হয়েছিল, সেই জিমিও সম্প্রতি মারা গেছেন। ভাইকে নিয়ে কোনি অ্যান্ডারহোলম বলেন, গত আগস্টে তিনি মারা গেছেন। বেঁচে থাকলে আমরা তাঁকে এই চিঠির কথা জানাতে পারতাম। এটা দেখাতে পারতাম। এত বছরের পুরোনো এই চিঠি আমাকে নস্টালজিক করে তুলেছে।
তবে প্রায় সাত দশক ধরে চিঠিটি কোথায় ছিল, এত দিন প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছায়নি কেন—এমন নানা প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে।