কক্সবাজার সংবাদদাতা : অবশেষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো সরকারি নিয়মানুযায়ী নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে পর্যটকদের সেন্টমার্টিন যেতে হচ্ছে। তবু স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে ফুটেছে হাসি।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামক জাহাজটি। সেন্ট মার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রথমদিনে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে। সেন্ট মার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, আজ প্রথমদিনে কক্সবাজার থেকে একটি জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমরা সবকিছু পরিদর্শন করেছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় নাব্যতার সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ যাতায়াত সাময়িক রন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।
৬৫৩ যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ‘বার আউলিয়া’ জাহাজের নবযাত্রা
জনপ্রিয় সংবাদ