ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া নিয়ে ভৈরব নদে ডুবে গেল জাহাজ

  • আপডেট সময় : ০১:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদে ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়াবোঝাই একটি জাহাজ ডুবে গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলায় নওয়াপাড়া এলাকায় পীরবাড়ি খেয়াঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। জাহাজে থাকা ইউরিয়া গলে নদের পানিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভৈরব নদের পানি দূষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, এমভি শারিব বাঁধন নামের ওই জাহাজে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) কাতার থেকে আমদানি করা ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ছিল। চট্টগ্রামভিত্তিক শিপিং কোম্পানি টোটাল শিপিংকে ওই ইউরিয়া পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
শিপিং কোম্পানি সূত্র জানায়, কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া বড় জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। সেখানে বড় জাহাজ থেকে ৬৪০ মেট্রিক টন (১২ হাজার ৮০০ বস্তা) ইউরিয়া ছোট জাহাজ এমভি শারিব বাঁধনে তোলা হয়। গত ২১ জানুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়ে ২৫ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পীরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে এসে নোঙর করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ থেকে ইউরিয়া ঘাটে নামানোর কথা ছিল।
বুধবার রাতে নদে ভাটা ছিল। নদে পানি কম থাকায় ইউরিয়ার ভারে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে। জাহাজটি ধীরে ধীরে নদের পানিতে ডুবে যেতে থাকে।
শিপিং কোম্পানি সূত্র জানায়, বুধবার রাতে নদে ভাটা ছিল। নদে পানি কম থাকায় ইউরিয়ার ভারে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে। জাহাজটি ধীরে ধীরে নদের পানিতে ডুবে যেতে থাকে। রাত দুইটার দিকে জাহাজটি নদের পানিতে ডুবে যায়। এতে জাহাজের সমুদয় ইউরিয়া গলে নদের পানিতে মিশে গেছে।
এমভি শারিব বাঁধনের মাস্টার শরীফ হোসেন বলেন, ভৈরব নদের ঘাটে জাহাজটি বাঁধা ছিল। জাহাজে ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ছিল। জাহাজ থেকে ইউরিয়া নামানোর অপেক্ষায় ছিল। গতকাল রাতে জাহাজের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এ সময় নদে পানি কম ছিল। রাত সাড়ে ১২টা থেকে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবতে শুরু করে এবং রাত দুইটার দিকে জোয়ারে জাহাজটি নদের পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। টোটাল শিপিং কোম্পানির খুলনার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন, জাহাজে কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া ছিল। জাহাজটি ঘাটে বাঁধা ছিল। জাহাজটি নদে ডুবে গেছে। এতে জাহাজে থাকা সব ইউরিয়া গলে নদের পানিতে মিশে গেছে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা এই মূহূর্তে বলা সম্ভব নয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া নিয়ে ভৈরব নদে ডুবে গেল জাহাজ

আপডেট সময় : ০১:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদে ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়াবোঝাই একটি জাহাজ ডুবে গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলায় নওয়াপাড়া এলাকায় পীরবাড়ি খেয়াঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। জাহাজে থাকা ইউরিয়া গলে নদের পানিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভৈরব নদের পানি দূষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, এমভি শারিব বাঁধন নামের ওই জাহাজে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) কাতার থেকে আমদানি করা ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ছিল। চট্টগ্রামভিত্তিক শিপিং কোম্পানি টোটাল শিপিংকে ওই ইউরিয়া পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
শিপিং কোম্পানি সূত্র জানায়, কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া বড় জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। সেখানে বড় জাহাজ থেকে ৬৪০ মেট্রিক টন (১২ হাজার ৮০০ বস্তা) ইউরিয়া ছোট জাহাজ এমভি শারিব বাঁধনে তোলা হয়। গত ২১ জানুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়ে ২৫ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পীরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে এসে নোঙর করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ থেকে ইউরিয়া ঘাটে নামানোর কথা ছিল।
বুধবার রাতে নদে ভাটা ছিল। নদে পানি কম থাকায় ইউরিয়ার ভারে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে। জাহাজটি ধীরে ধীরে নদের পানিতে ডুবে যেতে থাকে।
শিপিং কোম্পানি সূত্র জানায়, বুধবার রাতে নদে ভাটা ছিল। নদে পানি কম থাকায় ইউরিয়ার ভারে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে। জাহাজটি ধীরে ধীরে নদের পানিতে ডুবে যেতে থাকে। রাত দুইটার দিকে জাহাজটি নদের পানিতে ডুবে যায়। এতে জাহাজের সমুদয় ইউরিয়া গলে নদের পানিতে মিশে গেছে।
এমভি শারিব বাঁধনের মাস্টার শরীফ হোসেন বলেন, ভৈরব নদের ঘাটে জাহাজটি বাঁধা ছিল। জাহাজে ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ছিল। জাহাজ থেকে ইউরিয়া নামানোর অপেক্ষায় ছিল। গতকাল রাতে জাহাজের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এ সময় নদে পানি কম ছিল। রাত সাড়ে ১২টা থেকে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবতে শুরু করে এবং রাত দুইটার দিকে জোয়ারে জাহাজটি নদের পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। টোটাল শিপিং কোম্পানির খুলনার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন, জাহাজে কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া ছিল। জাহাজটি ঘাটে বাঁধা ছিল। জাহাজটি নদে ডুবে গেছে। এতে জাহাজে থাকা সব ইউরিয়া গলে নদের পানিতে মিশে গেছে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা এই মূহূর্তে বলা সম্ভব নয়।