ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সনদ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, ল্যাব, নিজস্ব ক্যাম্পাস, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১০টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ৬৩টি বিষয়ে শর্ত পূরণে এ সনদ দেওয়া হবে। আগামী ২০ জুলাই থেকে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আগামী ২০ জুলাই বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের জন্য বিশেষ দিন। এদিন উচ্চশিক্ষার অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক সম্মেলন ও উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ অনেকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। উচ্চশিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটদের সুসংহত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত একাডেমিক প্রোগ্রাম এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) কার্যক্রম শুরু করেছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানে মোট ১১৯টি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫ হাজার ৪৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখে অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত বিধিমালা, অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত সাধারণ নীতিমালা, স্বার্থগত দ্বন্দ্ব ও গোপনীয়তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। উন্নত দেশের আলোকে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় উপযুক্ত অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৭ পাসের জন্য বিগত ৫ বছর লেগেছে। এরপর সেখানে জনবল নিয়োগ ও কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েক বছর কেটে গেছে। এজন্য এখনো নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন সনদের জন্য যারা আবেদন করবে শর্ত অনুযায়ী তাদের ৬৩টি বিষয়ের ওপর কাজ করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে তাদের সনদ দেওয়া হবে। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সনদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যারা পিছিয়ে রয়েছে সনদের জন্য তারাও মান নিশ্চিত করে সনদের জন্য প্রস্তুতি নেবে। সনদ না নিলে কী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চাকরির আবেদন, দেশ-বিদেশে বৃত্তিসহ অনেক কিছু অ্যাক্রেডিটেশন সনদভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চাহিদা দেওয়া হতে পারে। সনদ না থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ সেখানে আবেদন করতে পারবে না। শিক্ষার মান নিশ্চিতে সবাইকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. মো: গোলাম শাহি আলম, প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, প্রফেসর ড. এস. এম. কবির প্রমুখ।
৬৩ শর্তে মিলবে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সনদ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ