ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

৫-১১ বয়সীদের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন ১১ আগস্ট

  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ১১ আগস্ট। পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষে ২৬ আগস্ট থেকে পুরোদমে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে সফল হয়েছি। এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছি। যে কারণে সম্প্রতি জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে আমরা দাওয়াত পেয়েছি। সেখানে আমাদেরকে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে কিভাবে আমরা ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করে সফল হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে পরবর্তীতে যদি দেশে আবারও করোনার নতুন ঢেউ আসে, তখন করণীয় সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে। আমরা কীভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছি, সেটি বিশ্ববাসীকে বলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজও ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষভাবে তৈরি ১৫ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে। সবমিলিয়ে শিশুদের টিকাদানে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার পাশাপাশি আরেক নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স নামক ভাইরাস। এরইমধ্যে ভাইরাসটি অনেক দেশে ছড়িয়ে গেছে। বানর থেকে এসেছে। আমেরিকা-ইউরোপে পাওয়া গেছে। সেসব দেশগুলো থেকে প্রচুর লোক আমাদের দেশে আসছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে যায়নি।’ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাতৃদুগ্ধ পানে বিশ্বে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ শিশু মাতৃদুগ্ধের আওতায় আছে। তবে দেশে এখনো ঘরে ডেলিভারি হয় ৪০ শতাংশ, সেটি আমাদেরকে কমিয়ে আনতে হবে।’ করোনার সময় মাতৃদুগ্ধে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় অবস্থা আরও খারাপ ছিল। কারণ, করোনার ভয়ে তারা সন্তানদের দুধ খাওয়ানো থেকে দূরে থেকেছে।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমরা মায়েদেরকে বুঝিয়েছি মাস্ক পরে হোক বা অন্যান্য সতর্কতার সঙ্গে হোক যেন দুধ খাওয়ানো হয়। করোনার প্রভার শিশুদের ওপর পড়েছে। কারণ অসংখ্য লোক চাকরি হারিয়েছে, তারা তাতের শিশুদের ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারেনি।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ অন্যরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৫-১১ বয়সীদের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন ১১ আগস্ট

আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ১১ আগস্ট। পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষে ২৬ আগস্ট থেকে পুরোদমে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে সফল হয়েছি। এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছি। যে কারণে সম্প্রতি জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে আমরা দাওয়াত পেয়েছি। সেখানে আমাদেরকে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে কিভাবে আমরা ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করে সফল হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে পরবর্তীতে যদি দেশে আবারও করোনার নতুন ঢেউ আসে, তখন করণীয় সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে। আমরা কীভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছি, সেটি বিশ্ববাসীকে বলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজও ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষভাবে তৈরি ১৫ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে। সবমিলিয়ে শিশুদের টিকাদানে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার পাশাপাশি আরেক নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স নামক ভাইরাস। এরইমধ্যে ভাইরাসটি অনেক দেশে ছড়িয়ে গেছে। বানর থেকে এসেছে। আমেরিকা-ইউরোপে পাওয়া গেছে। সেসব দেশগুলো থেকে প্রচুর লোক আমাদের দেশে আসছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে যায়নি।’ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাতৃদুগ্ধ পানে বিশ্বে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ শিশু মাতৃদুগ্ধের আওতায় আছে। তবে দেশে এখনো ঘরে ডেলিভারি হয় ৪০ শতাংশ, সেটি আমাদেরকে কমিয়ে আনতে হবে।’ করোনার সময় মাতৃদুগ্ধে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় অবস্থা আরও খারাপ ছিল। কারণ, করোনার ভয়ে তারা সন্তানদের দুধ খাওয়ানো থেকে দূরে থেকেছে।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমরা মায়েদেরকে বুঝিয়েছি মাস্ক পরে হোক বা অন্যান্য সতর্কতার সঙ্গে হোক যেন দুধ খাওয়ানো হয়। করোনার প্রভার শিশুদের ওপর পড়েছে। কারণ অসংখ্য লোক চাকরি হারিয়েছে, তারা তাতের শিশুদের ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারেনি।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ অন্যরা।