ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

৫ দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক দাবির’ বিরুদ্ধে ‘শাটডাউন কর্মসূচি’ পালন করেছেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মেডিকেলে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক পদবি ব্যবহার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে এলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক পেশায় আসতে দীর্ঘমেয়াদী পড়াশোনা করেন, কিন্তু এসএসসি পাস করে ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক সেজে বসে রয়েছে। এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে একটি যৌক্তিক মৌলিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া চিকিৎসকের স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি স্বাস্থ্য খাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো
১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্যা কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

৫ দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক দাবির’ বিরুদ্ধে ‘শাটডাউন কর্মসূচি’ পালন করেছেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মেডিকেলে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক পদবি ব্যবহার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে এলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক পেশায় আসতে দীর্ঘমেয়াদী পড়াশোনা করেন, কিন্তু এসএসসি পাস করে ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক সেজে বসে রয়েছে। এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে একটি যৌক্তিক মৌলিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া চিকিৎসকের স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি স্বাস্থ্য খাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো
১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্যা কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।