প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপলকে ৫০ কোটি ইউরো বা ৫৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে ইইউ। ওই অ্যান্টিট্রাস্ট রায়ের বিরুদ্ধে এবার আপিল করেছে আইফোন নির্মাতা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এক আইন লঙ্ঘনের দায়ে এ বছরের শুরতে অ্যাপলকে প্রায় ৫০ কোটি ইউরো জরিমানা করে আদালত। নতুন এ আইনটি বড় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তৈরি করেছে ইইউ। তবে সেই জরিমানার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালতে অ্যাপল গেল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
গত এপ্রিলে এ জরিমানার সিদ্ধান্তে ইউরোপিয়ান কমিশন বলেছিল, অ্যাপল এমন কিছু প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক নিয়ম চালু করেছে, যার ফলে অ্যাপ স্টোরের বাইরেও যে আরো সাশ্রয়ী বিকল্প রয়েছে সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের জানাতেই পারছে না অ্যাপ ডেভেলপাররা। কোম্পানিটির এমন আচরণ ইইউ’র ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। ওই সময় এ জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলেছিল অ্যাপল। আপিলের শেষদিন ছিল এই সোমবার (৭ জুলাই)। আর এ দিনই আদালতে গিয়েছে কোম্পানিটি।
অ্যাপল বলেছে, এ জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল আজ আদালতে জমা দিয়েছি আমরা। আমাদের বিশ্বাস, ইউরোপিয়ান কমিশনের সিদ্ধান্ত ও তাদের এই মোটা অংকের জরিমানা, আইন যা বলে তার চেয়ে অনেক বেশি কঠোর। আমাদের আপিলে উঠে আসবে, আমরা কীভাবে আমাদের স্টোর চালাব তা নির্ধারণ করে দিচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন এবং আমাদের ওপর এমন ব্যবসায়িক শর্ত জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে সংস্থাটি, যা ডেভেলপারদের জন্য বিভ্রান্তিকর ও ব্যবহারকারীদের জন্যও খারাপ। তবে প্রতিদিনের জরিমানা এড়ানোর জন্য এসব শর্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি আমরা। আদালতের কাছে এসব বিষয়ই আমরা তুলে ধরব।
রয়টার্স প্রতিবেদনে লিখেছে, গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশ মেনে চলতে নিজেদের অ্যাপ স্টোরের বিভিন্ন নিয়মে বড় পরিবর্তন আনে অ্যাপল। ইইউ’র নির্দেশ ছিল, অ্যাপলকে তাদের এমন বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তুলে নিতে হবে, যা অ্যাপ ডেভেলপারদের ওপর চাপ তৈরি করছে। এর পরপরই গোটা বিশ্বে প্রতিদিন তাদের গড় আয়ের ৫ শতাংশ বা প্রায় ৫ কোটি ইউরো জরিমানা এড়াতে সেসব পরিবর্তন আনে অ্যাপল। আইফোন নির্মাতার আনা এসব পরিবর্তন যথেষ্ট নাকি অ্যাপলকে আরো কিছু পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপারদের সঙ্গে আলোচনা করছে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।