ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

৫০০ টাকার খেজুর এবার ৮৫০

  • আপডেট সময় : ০২:০০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজানের একদিন বাকি। গত রমজানের তুলনায় এবার মান ভেদে খেজুরের কেজিতে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি মুড়িতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গত বছরের আগস্টের পর থেকেই দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে খেজুর ও মুড়ির দামও বেড়েছে। সরজমিনে রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, হাতিরপুল বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালমি মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের রমজান মাসে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক বছরে ৩৫০ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজিতে। এছাড়া, মাবরুম খেজুর ৮০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে ১১০০ টাকা, আজোয়া খেজুর ২০০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৩০০ টাকা বেড়ে ১০০০ টাকা, মেডজুল খেজুর ৪০০ টাকা বেড়ে ১৪০০ টাকা, বরই খেজুর ২৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা, বারারি ৬০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি খোলা মুড়ি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল। প্যাকেট আল্ট্রা জেষ্টা মুড়ি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে ১০০ টাকা কেজি ছিল। ক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রমজান মাসে খেজুর ছাড়া চলে না। কিন্তু এ বছর এই সাহস পাচ্ছি না। খেজুর নিয়ে চিন্তায় পরে গেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাসে মানুষকে কম দামে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো। আমাদের দেশে এর উল্টো, রমজান এলেই বেশি দামে কিনে খেতে হয়। মহানগর প্রজেক্ট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, রমজানে খেজুর ও মুড়ি চলে বেশি। এবং আমাদের দেশে এই দুই পণ্যের পাশাপাশি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ব্যাপারটা আসলে দুঃখজনক।
রামপুরা এলাকার খেজুর বিক্রেতা মো. শামসুল আলম বলেন, আমরা বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা পাগলা ঘোড়ার মতো দৌঁড়াচ্ছি। বাজারের প্রতিটি পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনার চেষ্টা চলমান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৫০০ টাকার খেজুর এবার ৮৫০

আপডেট সময় : ০২:০০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজানের একদিন বাকি। গত রমজানের তুলনায় এবার মান ভেদে খেজুরের কেজিতে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি মুড়িতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গত বছরের আগস্টের পর থেকেই দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে খেজুর ও মুড়ির দামও বেড়েছে। সরজমিনে রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, হাতিরপুল বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালমি মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের রমজান মাসে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক বছরে ৩৫০ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজিতে। এছাড়া, মাবরুম খেজুর ৮০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে ১১০০ টাকা, আজোয়া খেজুর ২০০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৩০০ টাকা বেড়ে ১০০০ টাকা, মেডজুল খেজুর ৪০০ টাকা বেড়ে ১৪০০ টাকা, বরই খেজুর ২৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা, বারারি ৬০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি খোলা মুড়ি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল। প্যাকেট আল্ট্রা জেষ্টা মুড়ি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে ১০০ টাকা কেজি ছিল। ক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রমজান মাসে খেজুর ছাড়া চলে না। কিন্তু এ বছর এই সাহস পাচ্ছি না। খেজুর নিয়ে চিন্তায় পরে গেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাসে মানুষকে কম দামে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো। আমাদের দেশে এর উল্টো, রমজান এলেই বেশি দামে কিনে খেতে হয়। মহানগর প্রজেক্ট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, রমজানে খেজুর ও মুড়ি চলে বেশি। এবং আমাদের দেশে এই দুই পণ্যের পাশাপাশি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ব্যাপারটা আসলে দুঃখজনক।
রামপুরা এলাকার খেজুর বিক্রেতা মো. শামসুল আলম বলেন, আমরা বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা পাগলা ঘোড়ার মতো দৌঁড়াচ্ছি। বাজারের প্রতিটি পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনার চেষ্টা চলমান।