ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

৪ হাজার বছর আগের সোনায় মোড়ানো মমির সন্ধান

  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : পিরামিড আর মমির দেশ মিসরে আবারও এক মমির সন্ধান মিলেছে। সম্প্রতি দেশটির প্রতœতাত্ত্বিকরা রাজধানী কায়রোর কাছে একটি ফেরাওনিক সমাধি উন্মোচন করেছেন। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের ধারণা, সমাধিটি থেকে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হওয়া সবচেয়ে প্রাচীন এবং ‘সবচেয়ে সম্পূর্ণ’ এক মমি হতে পারে এটি। প্রতœতাত্ত্বিকদের ধারণা অনুযায়ী নতুন আবিষ্কৃত এই মমিটি প্রায় ৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরনো। এটিকে জাহির সাক্কারায় স্টেপ পিরামিডের কাছে পুরানো রাজ্যের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ রাজবংশের সমাধিগুলির ১৫মিটার খাদের নীচ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রতœতাত্ত্বিক দলটির পরিচালক হাওয়াস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মমিটি হেকাশেপেস নামে একজন ব্যক্তির এবং এটিতে ‘সোনার পাতার আবরণ’ ছিল। মমিটি চুনাপাথরের সারকোফ্যাগাসে ছিল যা মর্টারে সিল করা হয়েছিল। সারকোফ্যাগাস এক ধরণের বিশেষ কফিনের মতো বাক্স। এটিতে নানা ধরনের নকশা করা হয় যা ফারাওদের সময় অভিজাতদের মৃতদেহ সমাধি করার কাজে ব্যবহৃত হতো।
হাওয়াস বলেন, ‘সারকোফ্যাগাসের ভিতরে কী ছিল তা দেখার জন্য আমি আমার মাথাটি ভিতরে রেখেছিলাম। তার সম্পূর্ণরূপে সোনার স্তরে আবৃত একটি মানুষের সুন্দর মমি দেখতে পেলাম। এই মমিটি এখন পর্যন্ত মিসরে পাওয়া প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে সম্পূর্ণ মমি হতে পারে।’ মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটিসের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন, ফেটেকের সমাধিতে এই অঞ্চলে পাওয়া ‘সবচেয়ে বড় মূর্তি’ গুলির একটি সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সমাধিগুলির মধ্যে অসংখ্য মূর্তি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রী এবং বেশ কয়েকটি ভৃত্যের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রাচীন মিসরের রাজধানী মেমফিসের বিশাল সমাধিস্থলটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে এক ডজনেরও বেশি পিরামিড, পশুর কবর এবং পুরানো কপটিক খ্রিস্টান মঠ রয়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিকে একটি পৃথক ঘোষণায় কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী প্রায় ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি মমি করা কিশোর ছেলের সম্পর্কে পূর্বে অজানা বিবরণ প্রকাশ করেছিলেন। সিটি স্ক্যান ব্যবহার করে বিজ্ঞানীদের দল ছেলেটির মমি করা দেহের মধ্যে ঢোকানো তাবিজের জটিল বিবরণ এবং সে যে ধরনের দাফন করেছে তা নিশ্চিত করে ছেলেটির উচ্চ সামাজিক মর্যাদার ওপর নতুন আলোকপাত করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৪ হাজার বছর আগের সোনায় মোড়ানো মমির সন্ধান

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : পিরামিড আর মমির দেশ মিসরে আবারও এক মমির সন্ধান মিলেছে। সম্প্রতি দেশটির প্রতœতাত্ত্বিকরা রাজধানী কায়রোর কাছে একটি ফেরাওনিক সমাধি উন্মোচন করেছেন। সংশ্লিষ্ট গবেষকদের ধারণা, সমাধিটি থেকে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হওয়া সবচেয়ে প্রাচীন এবং ‘সবচেয়ে সম্পূর্ণ’ এক মমি হতে পারে এটি। প্রতœতাত্ত্বিকদের ধারণা অনুযায়ী নতুন আবিষ্কৃত এই মমিটি প্রায় ৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরনো। এটিকে জাহির সাক্কারায় স্টেপ পিরামিডের কাছে পুরানো রাজ্যের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ রাজবংশের সমাধিগুলির ১৫মিটার খাদের নীচ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রতœতাত্ত্বিক দলটির পরিচালক হাওয়াস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মমিটি হেকাশেপেস নামে একজন ব্যক্তির এবং এটিতে ‘সোনার পাতার আবরণ’ ছিল। মমিটি চুনাপাথরের সারকোফ্যাগাসে ছিল যা মর্টারে সিল করা হয়েছিল। সারকোফ্যাগাস এক ধরণের বিশেষ কফিনের মতো বাক্স। এটিতে নানা ধরনের নকশা করা হয় যা ফারাওদের সময় অভিজাতদের মৃতদেহ সমাধি করার কাজে ব্যবহৃত হতো।
হাওয়াস বলেন, ‘সারকোফ্যাগাসের ভিতরে কী ছিল তা দেখার জন্য আমি আমার মাথাটি ভিতরে রেখেছিলাম। তার সম্পূর্ণরূপে সোনার স্তরে আবৃত একটি মানুষের সুন্দর মমি দেখতে পেলাম। এই মমিটি এখন পর্যন্ত মিসরে পাওয়া প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে সম্পূর্ণ মমি হতে পারে।’ মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটিসের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন, ফেটেকের সমাধিতে এই অঞ্চলে পাওয়া ‘সবচেয়ে বড় মূর্তি’ গুলির একটি সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সমাধিগুলির মধ্যে অসংখ্য মূর্তি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রী এবং বেশ কয়েকটি ভৃত্যের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রাচীন মিসরের রাজধানী মেমফিসের বিশাল সমাধিস্থলটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে এক ডজনেরও বেশি পিরামিড, পশুর কবর এবং পুরানো কপটিক খ্রিস্টান মঠ রয়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিকে একটি পৃথক ঘোষণায় কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী প্রায় ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি মমি করা কিশোর ছেলের সম্পর্কে পূর্বে অজানা বিবরণ প্রকাশ করেছিলেন। সিটি স্ক্যান ব্যবহার করে বিজ্ঞানীদের দল ছেলেটির মমি করা দেহের মধ্যে ঢোকানো তাবিজের জটিল বিবরণ এবং সে যে ধরনের দাফন করেছে তা নিশ্চিত করে ছেলেটির উচ্চ সামাজিক মর্যাদার ওপর নতুন আলোকপাত করেছে।