ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। আর এই রেকর্ডে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৬. ০৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আজ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ২৯ জুন বিকাল নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, প্রবাসীরা এই মাসের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই- ২৮ জুন পর্যন্ত ১১ মাস ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে (১১ মাস ২৮ দিনে)প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন ৩৬ .৪০ শতাংশ। আর গত বছরের জুন মাসের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই- মে) ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৭৭৮ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রবাসীরা গত মে মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছরের মে মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি। গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। গত মাসে ঈদ থাকায় প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে মাইলফলক রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একক মাসে এতো রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। অবশ্য গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা সহায়তা ৩ টাকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ

আপডেট সময় : ০২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। আর এই রেকর্ডে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৬. ০৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আজ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ২৯ জুন বিকাল নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, প্রবাসীরা এই মাসের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই- ২৮ জুন পর্যন্ত ১১ মাস ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে (১১ মাস ২৮ দিনে)প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন ৩৬ .৪০ শতাংশ। আর গত বছরের জুন মাসের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই- মে) ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৭৭৮ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রবাসীরা গত মে মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছরের মে মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি। গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। গত মাসে ঈদ থাকায় প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে মাইলফলক রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একক মাসে এতো রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। অবশ্য গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা সহায়তা ৩ টাকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।