নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রথম কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করলো। কুরিয়ার কোম্পানি হিসেবে পার্সেল ও পণ্য পরিবহন সেবায় আস্থা ও নির্ভরতার অনন্য প্রতীক হিসেবে এই দীর্ঘ সময় অতিক্রম করলো প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তরায় শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ভবন ও মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়সহ দেশব্যাপী সকল শাখায় নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড ও শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ দোয়ায় শরিক হন।

এরপর দুপুরে উত্তরায় শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান, দৈনিক আজকের প্রত্যাশার সম্পাদক ডা. মোঃ আহসানুল কবির, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান পুলক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ বরকত বাবু প্রমুখ।

বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, শিক্ষানুরাগী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত ৪৩ বছর আগে ১৯৮৩ সালের ১ নভেম্বর বৃহত্তর খুলনা জেলায় প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ প্রথম কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড। প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। ডকুমেন্ট পার্সেল দিয়ে শুরু করা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিস দেশব্যাপী ছয় শতাধিক আউটলেট ও প্রায় ৫০০ পরিবহনের মাধ্যমে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন পার্সেল বা কুরিয়ার সেবা প্রদান করে আসছে।

প্রতিষ্ঠাতা ইমামুল কবীর শান্তর মৃত্যুর পর তাঁর ছোট ভাই ডা. মোঃ আহসানুল কবির প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রকৌশলী শেখ তানভীর আহমেদ প্রধান নির্বাহী। দীর্ঘ চার দশকের পথচলায় রাজধানীর দিলকুশার প্রধান কার্যালয় থেকে সারা দেশে যথাক্রমে ডকুমেন্ট সার্ভিস, মোবাইল অ্যান্ড আইসিটি ইকুইপমেন্ট সার্ভিস, ভ্যালু ডিক্লেয়ারড সার্ভিস ও ই-কমার্স সেবা প্রদান করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন।
সানা/হিমেল/ দেলোয়ার/আপ্র/০১/১১/২০২৫



















