ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
৪৩ জাল পে-অর্ডার দেখিয়ে ৮ সেতু নির্মাণকাজ

৪৩ জাল পে-অর্ডার দেখিয়ে ৮ সেতু নির্মাণকাজ

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪৩টি জাল পে-অর্ডার ব্যবহার করে সেতু নির্মাণকাজের দরপত্রে অংশগ্রহণ এবং বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ (সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে এমন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক থেকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর কমিশন থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অন্যের জাল স্বাক্ষরে ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানকালে উদ্ঘাটিত হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ‘গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আটটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ওই সেতু নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। দরপত্র মূল্যায়নের সময় মানিকছড়ি উপজেলার চারটি প্রতিষ্ঠান ‘এটি ট্রেডার্স’, ‘তপন জ্যোতি চাকমা’, ‘সাইফুল ট্রেডার্স’ ও ‘ওয়াইজ ট্রেডার্স’-এর ৯৭ হাজার ৬০০ টাকার পে-অর্ডার এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ৯৮ হাজার টাকার পে-অর্ডারসহ সর্বমোট ৪৩টি ভুয়া পে-অর্ডার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে দুটি পে-অর্ডার জাহেদুল আলম মাসুদ নামের এক ঠিকাদার মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেন। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাসুদ একজন সাধারণ পাবলিক। তার কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স নেই। তিনি অন্যের ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করেন। সাধারণ পাবলিক হওয়ায় এ সংক্রান্ত অপরাধ দুদকের সিডিউলভুক্ত নয় বিধায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে প্রেরণের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট আট পাতার রেকর্ডপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ (সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী সেতু/কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৪৩ জাল পে-অর্ডার দেখিয়ে ৮ সেতু নির্মাণকাজ

৪৩ জাল পে-অর্ডার দেখিয়ে ৮ সেতু নির্মাণকাজ

আপডেট সময় : ০২:০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪৩টি জাল পে-অর্ডার ব্যবহার করে সেতু নির্মাণকাজের দরপত্রে অংশগ্রহণ এবং বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ (সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে এমন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক থেকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর কমিশন থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অন্যের জাল স্বাক্ষরে ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানকালে উদ্ঘাটিত হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ‘গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আটটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ওই সেতু নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। দরপত্র মূল্যায়নের সময় মানিকছড়ি উপজেলার চারটি প্রতিষ্ঠান ‘এটি ট্রেডার্স’, ‘তপন জ্যোতি চাকমা’, ‘সাইফুল ট্রেডার্স’ ও ‘ওয়াইজ ট্রেডার্স’-এর ৯৭ হাজার ৬০০ টাকার পে-অর্ডার এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ৯৮ হাজার টাকার পে-অর্ডারসহ সর্বমোট ৪৩টি ভুয়া পে-অর্ডার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে দুটি পে-অর্ডার জাহেদুল আলম মাসুদ নামের এক ঠিকাদার মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেন। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাসুদ একজন সাধারণ পাবলিক। তার কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স নেই। তিনি অন্যের ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করেন। সাধারণ পাবলিক হওয়ায় এ সংক্রান্ত অপরাধ দুদকের সিডিউলভুক্ত নয় বিধায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে প্রেরণের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট আট পাতার রেকর্ডপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ (সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী সেতু/কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।