ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

৪২ সেকেন্ডে ইউটিউবে আয় ১ কোটি ৭৫ লাখ

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এখন ইউটিউব। শুধু বিনোদনের মাধ্যমই নয়, আয় করারও অন্যতম উৎস এটি। বিশ্বের হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত এখান থেকে আয় করছেন লাখো ডলার। এবার এক যুবক ইউটিউব থেকে আয় করেছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তাও আবার মাত্র ৪২ সেকেন্ডেই।
এই অসাধ্য সাধন করেছেন জোনাথান মা নামের এক ইউটিউবার। মাত্র ৪২ সেকেন্ডে তিনি ইউটিউব থেকে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয় করেছেন। যদিও এর থেকে কিছু অর্থ তাকে কর বাবদ দিতে হয়েছে। সেই টাকা বাদ দিয়ে তার মোট আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই পুরো বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে।
অর্থ উপার্জনের এখন অন্যতম এক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। তবে সেখান থেকে অল্পদিনে ইনকাম করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে কন্টেন্ট আপলোড করার পরেই আয় করা যায়। তাও খুবই সামান্য। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অর্থের পরিমাণ।
ইউটিউবে কন্টেন্ট অনুযায়ী টাকা উপার্জন সম্ভব। কন্টেন্ট আপলোড থেকে শুরু করে সেগুলোর ভিউ অনুযায়ী অর্থ দেয় সংস্থাটি। অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজড থাকতে হবে। তবেই টাকা আয় করা সম্ভব।
তাহলে জোনাথান কীভাবে এমন কা- ঘটালেন, সেই প্রশ্ন ঘুরছে অনেকের মাথায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সেই রহস্য-
জোনাথানের ইউটিউব চ্যানেলটির নাম জোমা টেক (লড়সধ ঃবপয)। তিনি মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি, ব্লকচেইন ও এনএফটি (ঘঋঞ)র উপর কন্টেন্ট তৈরি করেন। ভবিষ্যতে একজন সিনেমা পরিচালক হওয়ার ইচ্ছে তার।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ফেসবুকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন জোনাথান। এরপর তিনি গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
তবে কোথাও মন বসছিল না তার। কারণ নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। একই সঙ্গে তার পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন তো ছিলই। গুগলের চাকরি ছেড়ে ফুলটাইম ইউটিউবার হয়ে যান।
এরই মধ্যে প্রচুর এনএফটি নিজের সংগ্রহে রাখেন জোনাথান। সেখান থেকেই বেশ কিছু এনএফটি বিক্রি করে মোটা অংকের ডিজিটাল কারেন্সি সংগ্রহ করেন।
এ ছাড়াও চলতি মাসের শুরুতেই ভ্যাক্সড ডগোস (ঠধীীবফ উড়মমড়ং) নামে একটি কালেকশন সামনে নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমেই তিনি ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন।
জোনাথান ২০১৬ সালে তার ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন। বর্তমানে জোনাথানের ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এনএফটি থেকে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মাসে লাখ লাখ ডলার উপার্জন করছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোববার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, ৮০ টাকায় মিলবে চিনি

৪২ সেকেন্ডে ইউটিউবে আয় ১ কোটি ৭৫ লাখ

আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এখন ইউটিউব। শুধু বিনোদনের মাধ্যমই নয়, আয় করারও অন্যতম উৎস এটি। বিশ্বের হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত এখান থেকে আয় করছেন লাখো ডলার। এবার এক যুবক ইউটিউব থেকে আয় করেছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তাও আবার মাত্র ৪২ সেকেন্ডেই।
এই অসাধ্য সাধন করেছেন জোনাথান মা নামের এক ইউটিউবার। মাত্র ৪২ সেকেন্ডে তিনি ইউটিউব থেকে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয় করেছেন। যদিও এর থেকে কিছু অর্থ তাকে কর বাবদ দিতে হয়েছে। সেই টাকা বাদ দিয়ে তার মোট আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই পুরো বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে।
অর্থ উপার্জনের এখন অন্যতম এক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। তবে সেখান থেকে অল্পদিনে ইনকাম করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে কন্টেন্ট আপলোড করার পরেই আয় করা যায়। তাও খুবই সামান্য। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অর্থের পরিমাণ।
ইউটিউবে কন্টেন্ট অনুযায়ী টাকা উপার্জন সম্ভব। কন্টেন্ট আপলোড থেকে শুরু করে সেগুলোর ভিউ অনুযায়ী অর্থ দেয় সংস্থাটি। অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজড থাকতে হবে। তবেই টাকা আয় করা সম্ভব।
তাহলে জোনাথান কীভাবে এমন কা- ঘটালেন, সেই প্রশ্ন ঘুরছে অনেকের মাথায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সেই রহস্য-
জোনাথানের ইউটিউব চ্যানেলটির নাম জোমা টেক (লড়সধ ঃবপয)। তিনি মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি, ব্লকচেইন ও এনএফটি (ঘঋঞ)র উপর কন্টেন্ট তৈরি করেন। ভবিষ্যতে একজন সিনেমা পরিচালক হওয়ার ইচ্ছে তার।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ফেসবুকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন জোনাথান। এরপর তিনি গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
তবে কোথাও মন বসছিল না তার। কারণ নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। একই সঙ্গে তার পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন তো ছিলই। গুগলের চাকরি ছেড়ে ফুলটাইম ইউটিউবার হয়ে যান।
এরই মধ্যে প্রচুর এনএফটি নিজের সংগ্রহে রাখেন জোনাথান। সেখান থেকেই বেশ কিছু এনএফটি বিক্রি করে মোটা অংকের ডিজিটাল কারেন্সি সংগ্রহ করেন।
এ ছাড়াও চলতি মাসের শুরুতেই ভ্যাক্সড ডগোস (ঠধীীবফ উড়মমড়ং) নামে একটি কালেকশন সামনে নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমেই তিনি ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন।
জোনাথান ২০১৬ সালে তার ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন। বর্তমানে জোনাথানের ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এনএফটি থেকে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মাসে লাখ লাখ ডলার উপার্জন করছেন তিনি।