ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

৩ বছরে নদী থেকে ১২২৪৫ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন বছরে নদীর সীমানা থেকে ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধার করা নদীর জায়গার পরিমাণ ৩৮৯ দশমিক ৬২ একর।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বিআইডব্লিউটিএয়ের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য উঠে এসেছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধার করা তীরভূমি বা জায়গার পরিমাণ ৩৮৯ দশমিক ৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, এটা আমাদের প্রথম সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন নির্বাচনী ইশতেহারে, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। তার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করা হবে। নৌপথ আরও আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে। এ সক্ষমতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আছে।
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, হাঁটার পথ ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ছয় হাজার ২০২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পথ দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরও ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়। এছাড়া আমিন বাজার, পাগলাবাজারের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদরাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরও আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরও দু-টি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে। চাঁদপুর নদী বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনামুক্ত করতে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দু-টি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয় সভায়। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া অংশীদারিত্ব আরো গভীর করার অঙ্গীকার

৩ বছরে নদী থেকে ১২২৪৫ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন বছরে নদীর সীমানা থেকে ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধার করা নদীর জায়গার পরিমাণ ৩৮৯ দশমিক ৬২ একর।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বিআইডব্লিউটিএয়ের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য উঠে এসেছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধার করা তীরভূমি বা জায়গার পরিমাণ ৩৮৯ দশমিক ৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, এটা আমাদের প্রথম সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন নির্বাচনী ইশতেহারে, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। তার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করা হবে। নৌপথ আরও আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে। এ সক্ষমতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আছে।
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, হাঁটার পথ ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ছয় হাজার ২০২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পথ দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরও ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়। এছাড়া আমিন বাজার, পাগলাবাজারের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদরাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরও আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরও দু-টি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে। চাঁদপুর নদী বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনামুক্ত করতে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দু-টি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয় সভায়। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সভায় উপস্থিত ছিলেন।