ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

৩৯ বছর বয়সে নতুন আশার দোলায় রোমাঞ্চিত অ্যান্ডারসন

  • আপডেট সময় : ১০:০০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ৩৯ বছর বয়সে দল থেকে বাদ পড়া মানে একরকম ক্যারিয়ারের সমাপ্তিরেখায় পৌঁছে যাওয়া। পেস বোলার হলে তো কথাই নেই। জিমি অ্যান্ডারসন তবু হাল না ছেড়ে অপেক্ষায় ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটে পালাবদলের। সেই সময়টা সত্যিই এসে গেছে। থমকে যাওয়া ক্যারিয়ারের সামনে আলোর রেখাও তিনি দেখতে পাচ্ছেন। ইংলিশ ক্রিকেটের নতুন সেই ভ্রমণের যাত্রী হতে তর সইছে না টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসারের। গত অ্যাশেজে ভরাডুবির পর দল পুনর্গঠন করে সামনে তাকানোর কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছিল জিমি অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে। যদিও অ্যাশেজে তিনটি করে টেস্ট খেলে দুজনের কারও পারফরম্যান্সই খারাপ ছিল না। তবে তাদের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল মূলত বয়স আর ভবিষ্যৎ ভাবনা। ১ হাজার ১৭৭ উইকেট শিকারি দুই বোলারকে বাইরে রাখায় ইংলিশ ক্রিকেট মহলে দেখা যায় প্রবল প্রতিক্রিয়া। অ্যান্ডারসন ও ব্রড তাদের বিস্ময় ও অসন্তুষ্টির কথা জানান প্রকাশ্যেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যর্থতার পর আবার বদলে যায় হাওয়া। টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়েন জো রুট। ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস নেতৃত্ব পেয়েই বলেছেন, দুই অভিজ্ঞ পেসার অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে দলে ফেরত চান তিনি। তার সঙ্গে একমত হন নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট কি। ব্যস, এখন আবার অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে ইংল্যান্ডের হয়ে দেখার অপেক্ষা। বিবিসি রেডিও ল্যাঙ্কাশায়ারকে অ্যান্ডারসন বললেন, নতুন শুরুর এই দোলায় দারুণভাবেই আন্দোলিত তিনি ও ব্রড।
“স্টুয়ার্ট (ব্রড) এবং আমি আশা করছিলাম, আমাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়নি। এখনও সুযোগ আছে জেনে তাই ভালো লাগছে।” “যদিও নিজ নিজ কাউন্টি দলের হয়ে পারফর্ম করে আমাদের এখনও প্রমাণ করতে হবে যে, সেরা একাদশে (ইংল্যান্ডের) জায়গা করে নেওয়ার মতো যথেষ্ট ভালো আমরা। তবে পরিস্থিতির কারণে এবং বিভিন্ন দায়িত্বশীল জায়গাগুলোর শূন্যতায় আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে কী হতে যাচ্ছে। এখন তা অনেকটাই পরিষ্কার, এটা দারুণ।” স্টোকসের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ, পেশাগত পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমীহ স্পষ্ট। এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের নতুন পথচলার অংশ হতে তর সইছে না টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর কাটিয়ে দেওয়া অ্যান্ডারসনের। “বেন (স্টোকস) সহজাত নেতা, দলের সবার সম্মান আছে ওর প্রতি। সে জানে, দলকে কোন পথে এগিয়ে নেবে। সেই ভ্রমণের অংশ হতে আমার ভালো লাগবে। কঠিন কয়েকটি বছর গেছে আমাদের, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা তলানির দিকে। ইংলিশ ক্রিকেটের প্রয়োজন টেস্টে জয়ের পথে ফেরা।” ইংল্যান্ডের নতুন মৌসুম শুরু হবে আগামী ২ জুন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে। সেখানেই আবার একসঙ্গে দুই প্রান্ত থেকে বল হাতে ছুটতে দেখা যেতে পারে অ্যান্ডারসন-ব্রডকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

৩৯ বছর বয়সে নতুন আশার দোলায় রোমাঞ্চিত অ্যান্ডারসন

আপডেট সময় : ১০:০০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ৩৯ বছর বয়সে দল থেকে বাদ পড়া মানে একরকম ক্যারিয়ারের সমাপ্তিরেখায় পৌঁছে যাওয়া। পেস বোলার হলে তো কথাই নেই। জিমি অ্যান্ডারসন তবু হাল না ছেড়ে অপেক্ষায় ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটে পালাবদলের। সেই সময়টা সত্যিই এসে গেছে। থমকে যাওয়া ক্যারিয়ারের সামনে আলোর রেখাও তিনি দেখতে পাচ্ছেন। ইংলিশ ক্রিকেটের নতুন সেই ভ্রমণের যাত্রী হতে তর সইছে না টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসারের। গত অ্যাশেজে ভরাডুবির পর দল পুনর্গঠন করে সামনে তাকানোর কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছিল জিমি অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে। যদিও অ্যাশেজে তিনটি করে টেস্ট খেলে দুজনের কারও পারফরম্যান্সই খারাপ ছিল না। তবে তাদের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল মূলত বয়স আর ভবিষ্যৎ ভাবনা। ১ হাজার ১৭৭ উইকেট শিকারি দুই বোলারকে বাইরে রাখায় ইংলিশ ক্রিকেট মহলে দেখা যায় প্রবল প্রতিক্রিয়া। অ্যান্ডারসন ও ব্রড তাদের বিস্ময় ও অসন্তুষ্টির কথা জানান প্রকাশ্যেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যর্থতার পর আবার বদলে যায় হাওয়া। টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়েন জো রুট। ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস নেতৃত্ব পেয়েই বলেছেন, দুই অভিজ্ঞ পেসার অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে দলে ফেরত চান তিনি। তার সঙ্গে একমত হন নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট কি। ব্যস, এখন আবার অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে ইংল্যান্ডের হয়ে দেখার অপেক্ষা। বিবিসি রেডিও ল্যাঙ্কাশায়ারকে অ্যান্ডারসন বললেন, নতুন শুরুর এই দোলায় দারুণভাবেই আন্দোলিত তিনি ও ব্রড।
“স্টুয়ার্ট (ব্রড) এবং আমি আশা করছিলাম, আমাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়নি। এখনও সুযোগ আছে জেনে তাই ভালো লাগছে।” “যদিও নিজ নিজ কাউন্টি দলের হয়ে পারফর্ম করে আমাদের এখনও প্রমাণ করতে হবে যে, সেরা একাদশে (ইংল্যান্ডের) জায়গা করে নেওয়ার মতো যথেষ্ট ভালো আমরা। তবে পরিস্থিতির কারণে এবং বিভিন্ন দায়িত্বশীল জায়গাগুলোর শূন্যতায় আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে কী হতে যাচ্ছে। এখন তা অনেকটাই পরিষ্কার, এটা দারুণ।” স্টোকসের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ, পেশাগত পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমীহ স্পষ্ট। এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের নতুন পথচলার অংশ হতে তর সইছে না টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর কাটিয়ে দেওয়া অ্যান্ডারসনের। “বেন (স্টোকস) সহজাত নেতা, দলের সবার সম্মান আছে ওর প্রতি। সে জানে, দলকে কোন পথে এগিয়ে নেবে। সেই ভ্রমণের অংশ হতে আমার ভালো লাগবে। কঠিন কয়েকটি বছর গেছে আমাদের, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা তলানির দিকে। ইংলিশ ক্রিকেটের প্রয়োজন টেস্টে জয়ের পথে ফেরা।” ইংল্যান্ডের নতুন মৌসুম শুরু হবে আগামী ২ জুন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে। সেখানেই আবার একসঙ্গে দুই প্রান্ত থেকে বল হাতে ছুটতে দেখা যেতে পারে অ্যান্ডারসন-ব্রডকে।