ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

৩৮ বছর বয়সেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক বেইলি

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দেড় বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন জর্জ বেইলি। এবার পেলেন ‘প্রমোশন।’ সাবেক এই অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধান নির্বাচক। অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন এই দায়িত্ব পেলেন বেইলি। প্রধান নির্বাচক হিসেবে ৬৭ বছর বয়সী হন্সের দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ এই আগস্টেই। সাবেক ব্যাটসম্যান বেইলি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচক হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন বলে বিবেচিত গ্রেগ চ্যাপেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার পেলেন আরও বড় দায়িত্ব।
বেইলির এই নিয়োগ বেশ কিছু দিক থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। তার বয়স মোটে ৩৮। গত বছরের জানুয়ারিতেও ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচকের ভার যুগে যুগে যাদের ওপর পড়েছে, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান থেকে অ্যান্ড্রু হিলডিচ, জন ইনভেরারিটি কিংবা রডনি মার্শ, তারা এত কম বয়সে এই দায়িত্ব পাননি। আরেকটি চোখে পড়ার মতো ব্যাপার, তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধান নির্বাচক, যার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এর আগে জেমি কক্স, অ্যান্ড্র বিকেল, মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়কত্বের সময়) নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন, যাদের টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে তারা কেউ প্রধান নির্বাচক ছিলেন না। বেইলি খেলেছেন ২১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। হন্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একটি অধ্যায়েরও শেষ হচ্ছে। প্রথম দফায় তিনি প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সময় বলা যায় সেটিকে। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করে তারা, রানার্স আপ হয় একটিতে। টেস্ট আঙিনায় অস্ট্রেলিয়া প্রতিষ্ঠিত করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব। গড়া হয় দুই দফায় টানা ১৬ টেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড। আলোচিত ২০০৫ অ্যাশেজে হারার পর দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে আবার তিনি ফেরেন নির্বাচক প্যানেলে। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেন প্রধান নির্বাচক হিসেবে। তার সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বছর। কিন্তু বোর্ডের বিশেষ অনুরোধে মেয়াদ আরও বাড়াতে রাজি হন তিনি। অবশেষে থামল সেই পথচলা। প্রধান নির্বাচক বেইলির সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলে আছেন এখন পদাধিকার বলে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তৃতীয় নির্বাচকের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

০৮

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৩৮ বছর বয়সেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক বেইলি

আপডেট সময় : ০১:৩১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : দেড় বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন জর্জ বেইলি। এবার পেলেন ‘প্রমোশন।’ সাবেক এই অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধান নির্বাচক। অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন এই দায়িত্ব পেলেন বেইলি। প্রধান নির্বাচক হিসেবে ৬৭ বছর বয়সী হন্সের দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ এই আগস্টেই। সাবেক ব্যাটসম্যান বেইলি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচক হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন বলে বিবেচিত গ্রেগ চ্যাপেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার পেলেন আরও বড় দায়িত্ব।
বেইলির এই নিয়োগ বেশ কিছু দিক থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। তার বয়স মোটে ৩৮। গত বছরের জানুয়ারিতেও ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচকের ভার যুগে যুগে যাদের ওপর পড়েছে, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান থেকে অ্যান্ড্রু হিলডিচ, জন ইনভেরারিটি কিংবা রডনি মার্শ, তারা এত কম বয়সে এই দায়িত্ব পাননি। আরেকটি চোখে পড়ার মতো ব্যাপার, তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধান নির্বাচক, যার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এর আগে জেমি কক্স, অ্যান্ড্র বিকেল, মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়কত্বের সময়) নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন, যাদের টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে তারা কেউ প্রধান নির্বাচক ছিলেন না। বেইলি খেলেছেন ২১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। হন্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একটি অধ্যায়েরও শেষ হচ্ছে। প্রথম দফায় তিনি প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সময় বলা যায় সেটিকে। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করে তারা, রানার্স আপ হয় একটিতে। টেস্ট আঙিনায় অস্ট্রেলিয়া প্রতিষ্ঠিত করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব। গড়া হয় দুই দফায় টানা ১৬ টেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড। আলোচিত ২০০৫ অ্যাশেজে হারার পর দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে আবার তিনি ফেরেন নির্বাচক প্যানেলে। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেন প্রধান নির্বাচক হিসেবে। তার সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বছর। কিন্তু বোর্ডের বিশেষ অনুরোধে মেয়াদ আরও বাড়াতে রাজি হন তিনি। অবশেষে থামল সেই পথচলা। প্রধান নির্বাচক বেইলির সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলে আছেন এখন পদাধিকার বলে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তৃতীয় নির্বাচকের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

০৮