ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ এবং ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং ‘প্রকৃত দোষীদের’ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে এই মানববন্ধন থেকে কুয়েট ভিসি ও কুয়েট প্রশাসনের ‘বিতর্কিত ও নেতিবাচক ভূমিকার’ সমালোচনা করে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়; এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ওই ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়ছে।
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বুয়েটে আয়োজিত মানববন্ধনে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল ফারাবি বলেন, “নিরাপদ ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে বহিষ্কার করা কোনক্রমেই কাম্য নয়। “আমরা, বুয়েট শিক্ষার্থীরা কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পাশে আছি এবং এই মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, প্রকৃত দোষীদের বিচার, কুয়েট ভিসি ও কুয়েট প্রশাসনের বিতর্কিত ও নেতিবাচক ভূমিকার কঠোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আমরা আমাদের কুয়েটিয়ান ভাই-বোনদের পাশে আছি। অনতিবিলম্বে কুয়েট প্রশাসন কর্তৃক যথোপোযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এদেশের ছাত্রসমাজ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।’ কুয়েটে ‘নিরপরাধ’, আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে ২২ জনের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মিথ্যা মামলা’ দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় বুয়েটের মানববন্ধনে। লিখিত বক্তব্যে আল ফারাবি বলেন, “ওই হামলার প্রকৃত তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া এবং অপরাধীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত না করেই কীভাবে আন্দোলনরত নিরীহ শিক্ষার্থীদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হল–তা আমাদের মাঝে বিস্ময়ের উদ্রেক করে এবং বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বলাই বাহুল্য, কুয়েট প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই প্রক্রিয়াটি কুয়েট প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির নিষ্ক্রিয়তা, ব্যর্থতা ও পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন।” তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে দমন করার মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন এর স্পিরিট নষ্ট করা সামগ্রিকভাবে দেশের জন্যে কল্যাণকর কিছু বয়ে আনবে না।”