ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

৩৪৭টি মোবাইল ফোনসহ চোরাকারবারি চক্রের এক সদস্য গ্রেফতার

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালান করা বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ চোরাকারবারি চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-সাইবার বিভাগ।

গ্রেফতারের নাম-নাফিস আহমেদ (২০)। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ৩৪৭টি চোরাচালান করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে শাহবাগ থানাধীন পরিবাগ এলাকার মোতালেব টাওয়ারের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। ডিবি-সাইবার বিভাগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শাহবাগ এলাকায় ডিবি-সাইবারের (দক্ষিণ) একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, শাহবাগ থানাধীন পরিবাগ এলাকায় ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালান করা বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন আনলোড ও ক্রয়-বিক্রয় করা হবে।

ওই সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির আভিযানিক দল পরীবাগ এলাকায় কৌশলে অবস্থান নেয়। পরে দুপুরে মোতালেব টাওয়ার এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে চোরাচালান করা মোবাইল ফোন আনলোড করার সময় ডিবির আভিযানিক দল ৩৪৭টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনসহ নাফিস আহমেদকে গ্রেফতার করে।

উদ্ধার করা মোবাইল ফোনগুলোর আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ টাকা। এ সময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতার নাফিস চোরাচালানকারী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে পলাতক আরো কয়েকজনের সঙ্গে মিলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য গেজেট চোরাচালান করে আসছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেফতার নাফিসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চোরাকারবারি চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে ডিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা সব অপরাধের নিউক্লিয়াস, সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর

৩৪৭টি মোবাইল ফোনসহ চোরাকারবারি চক্রের এক সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালান করা বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ চোরাকারবারি চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-সাইবার বিভাগ।

গ্রেফতারের নাম-নাফিস আহমেদ (২০)। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ৩৪৭টি চোরাচালান করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে শাহবাগ থানাধীন পরিবাগ এলাকার মোতালেব টাওয়ারের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। ডিবি-সাইবার বিভাগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শাহবাগ এলাকায় ডিবি-সাইবারের (দক্ষিণ) একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, শাহবাগ থানাধীন পরিবাগ এলাকায় ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালান করা বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন আনলোড ও ক্রয়-বিক্রয় করা হবে।

ওই সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির আভিযানিক দল পরীবাগ এলাকায় কৌশলে অবস্থান নেয়। পরে দুপুরে মোতালেব টাওয়ার এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে চোরাচালান করা মোবাইল ফোন আনলোড করার সময় ডিবির আভিযানিক দল ৩৪৭টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনসহ নাফিস আহমেদকে গ্রেফতার করে।

উদ্ধার করা মোবাইল ফোনগুলোর আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ টাকা। এ সময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতার নাফিস চোরাচালানকারী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে পলাতক আরো কয়েকজনের সঙ্গে মিলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য গেজেট চোরাচালান করে আসছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেফতার নাফিসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চোরাকারবারি চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে ডিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।