ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

৩২ দেশের সিনেমা নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসব

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : শুরু হচ্ছে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’র ষষ্ঠ আসর। চলচ্চিত্র সংসদ ‘সিনেমা বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আজ ৩ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত সমুদ্র তীরের শহর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে এটি। ‘লেটস্ সিনেমা!’ স্লোগানে এবারের উৎসবে অংশ নিচ্ছে ৩২টি দেশের তরুণ নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তথ্যগুলো জানিয়েছেন উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব রোকেয়া প্রাচী ও উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদীক।
তারা জানান, ৩ মার্চ উৎসবটির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবসার, কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুর রহমান এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জনাব গোলাম কুদ্দুছ। উৎসবটির বিভিন্ন বিভাগে উপস্থিত থাকবেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় তারকারা। এর মধ্যে আছেন রামেন্দু মজুমদার, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, প্রসূন রহমান, প্রযোজক ও নির্মাতা রেদোয়ান রনি, সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমি চুয়া, নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন, অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, নাসির উদ্দীন খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সংগীতশিল্পী শারমিন সুলতানা সুমিসহ আরও অনেকে। উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদীক বলেন, ‘মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শনী হবে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে। উদ্বোধন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানও হবে সেখানে। সমাপনী দিনে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ীদের হাতে।’ এই উৎসবে ‘আমন্ত্রিত চলচ্চিত্র’ নামে একটি বিভাগ থাকছে। এতে দেশের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত কয়েকটি ছবি দেখানো হবে। এগুলো হলো- ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘মায়ার জঞ্জাল’, ‘মশারি’, ‘ট্রানজিট’ ও ‘দামাল’। এগুলো প্রদর্শিত হবে কক্সবাজারের বিখ্যাত লাবনী পয়েন্টে, উন্মুক্ত সৈকতে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে শো। প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন সিনেমাগুলোর নির্মাতা-শিল্পীরা।
এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে আয়োজকদের ব্যাখ্যা, ‘উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকতেই আমরা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছি। ৫০০ জন দর্শকের বসার জায়গা থাকবে। তাদের চারপাশে থাকবে সাউন্ড মনিটরগুলো। এছাড়া স্ক্রিন হিসেবে থাকছে অত্যাধুনিক এলইডি স্ক্রিন। সুতরাং উন্মুক্ত সৈকত হলেও দর্শক ভালোভাবেই সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন।’ উৎসবটির তৃতীয় ভেন্যু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান মিলনায়তন, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। ৫ মার্চ ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’র সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত এইচ ই শিলা পিল্লাই। উল্লেখ্য, এর আগে উৎসবটি লক্ষীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, বান্দরবান ও নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর সকল প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। উৎসব ও প্রদর্শনীর সময়সূচি পাওয়া যাবে িি.িপরহবসধনধহমষধফবংয.ড়ৎম এই ঠিকানায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩২ দেশের সিনেমা নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসব

আপডেট সময় : ১২:৫১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : শুরু হচ্ছে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’র ষষ্ঠ আসর। চলচ্চিত্র সংসদ ‘সিনেমা বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আজ ৩ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত সমুদ্র তীরের শহর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে এটি। ‘লেটস্ সিনেমা!’ স্লোগানে এবারের উৎসবে অংশ নিচ্ছে ৩২টি দেশের তরুণ নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তথ্যগুলো জানিয়েছেন উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব রোকেয়া প্রাচী ও উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদীক।
তারা জানান, ৩ মার্চ উৎসবটির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবসার, কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুর রহমান এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জনাব গোলাম কুদ্দুছ। উৎসবটির বিভিন্ন বিভাগে উপস্থিত থাকবেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় তারকারা। এর মধ্যে আছেন রামেন্দু মজুমদার, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, প্রসূন রহমান, প্রযোজক ও নির্মাতা রেদোয়ান রনি, সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমি চুয়া, নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন, অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, নাসির উদ্দীন খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সংগীতশিল্পী শারমিন সুলতানা সুমিসহ আরও অনেকে। উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদীক বলেন, ‘মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শনী হবে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে। উদ্বোধন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানও হবে সেখানে। সমাপনী দিনে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ীদের হাতে।’ এই উৎসবে ‘আমন্ত্রিত চলচ্চিত্র’ নামে একটি বিভাগ থাকছে। এতে দেশের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত কয়েকটি ছবি দেখানো হবে। এগুলো হলো- ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘মায়ার জঞ্জাল’, ‘মশারি’, ‘ট্রানজিট’ ও ‘দামাল’। এগুলো প্রদর্শিত হবে কক্সবাজারের বিখ্যাত লাবনী পয়েন্টে, উন্মুক্ত সৈকতে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে শো। প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন সিনেমাগুলোর নির্মাতা-শিল্পীরা।
এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে আয়োজকদের ব্যাখ্যা, ‘উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকতেই আমরা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছি। ৫০০ জন দর্শকের বসার জায়গা থাকবে। তাদের চারপাশে থাকবে সাউন্ড মনিটরগুলো। এছাড়া স্ক্রিন হিসেবে থাকছে অত্যাধুনিক এলইডি স্ক্রিন। সুতরাং উন্মুক্ত সৈকত হলেও দর্শক ভালোভাবেই সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন।’ উৎসবটির তৃতীয় ভেন্যু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান মিলনায়তন, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। ৫ মার্চ ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’র সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত এইচ ই শিলা পিল্লাই। উল্লেখ্য, এর আগে উৎসবটি লক্ষীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, বান্দরবান ও নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর সকল প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। উৎসব ও প্রদর্শনীর সময়সূচি পাওয়া যাবে িি.িপরহবসধনধহমষধফবংয.ড়ৎম এই ঠিকানায়।