ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

৩১ বছর পর কারাগার ছাড়লেন রাজীব গান্ধীর ঘাতকরা

  • আপডেট সময় : ০২:২৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

এনডিটিভি : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ৩১ বছরের কারাবাস শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেয়েছেন এই মামলার পাঁচ আসামি। নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে সুপ্রিম কোর্ট মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা। দেশটির বহুল আলোচিত রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তিপ্রাপ্ত হলেন— নলিনী শ্রীহরন, তার স্বামী মুরুগান, সান্থান, রবার্ট পায়াস এবং আরপি রবিচন্দ্রন। শনিবার ভেলোরের কারাগারে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অন্যতম আসামি নলিনী শ্রীহরন ও রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত ছিলেন তারা।
পরে প্যারোলের শর্ত অনুযায়ী, শনিবার সকালের দিকে ভেলোরের একটি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হাজিরা দেন নলিনী। আর গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ জি পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। এর আগে শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আসামিদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানায়। ১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।
১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকা-ে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদ- বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদ-কে যাবজ্জীবন কারাদ-ে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৩১ বছর পর কারাগার ছাড়লেন রাজীব গান্ধীর ঘাতকরা

আপডেট সময় : ০২:২৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

এনডিটিভি : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ৩১ বছরের কারাবাস শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেয়েছেন এই মামলার পাঁচ আসামি। নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে সুপ্রিম কোর্ট মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা। দেশটির বহুল আলোচিত রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তিপ্রাপ্ত হলেন— নলিনী শ্রীহরন, তার স্বামী মুরুগান, সান্থান, রবার্ট পায়াস এবং আরপি রবিচন্দ্রন। শনিবার ভেলোরের কারাগারে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অন্যতম আসামি নলিনী শ্রীহরন ও রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত ছিলেন তারা।
পরে প্যারোলের শর্ত অনুযায়ী, শনিবার সকালের দিকে ভেলোরের একটি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হাজিরা দেন নলিনী। আর গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ জি পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। এর আগে শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আসামিদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানায়। ১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।
১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকা-ে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদ- বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদ-কে যাবজ্জীবন কারাদ-ে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।