ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন না করায় দিনাজপুরের ৩১৬টি চালকল ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। বাতিল করা চালকলের মধ্যে ২৯৬টি সেদ্ধ ও ২০টি আতপ চালকল রয়েছে। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, লাইসেন্স বাতিল করা মিলগুলো ধান থেকে চাল উৎপাদন কার্যক্রম, চাল বাজারজাতকরণ ও মিলে ধান-চাল মজুত করতে পারবে না।

এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে ধান-চাল সরকারি খাতে বাজেয়াপ্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট চালকল মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব সেদ্ধ চালকলের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৪০, বিরল উপজেলায় ৪, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৬০, কাহারোল উপজেলায় ১৫, বীরগঞ্জ উপজেলায় ১১, খানসামা উপজেলায় ৪, চিরিরবন্দর উপজেলায় ৩৩টি চালকল, পার্বতীপুর উপজেলায় ১৬, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৪০, বিরামপুর উপজেলায় ৭, হাকিমপুর উপজেলায় ২, নবাবগঞ্জ ২৮, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৩৭টি চালকল রয়েছে। আর যে ২০টি আতপ চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১৯ ও চিরিরবন্দর উপজেলার একটি চালকল রয়েছে। জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে এই জেলায় সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ৮০৬ মেট্রিক টন।

এ ছাড়া ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন। সরকারের এই অভিযানে ধান-চাল সরবরাহের জন্য জেলার ৯১১টি সিদ্ধ চালকল এবং ৮৩টি আতপ চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সংগ্রহ অভিযান চলে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিল থেকে ৪৮ হাজার ৭২৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ১১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন আপত চাল ও ২ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ সেদ্ধ চাল, ৯৬ শতাংশ আতপ চাল ও ১৩ শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। এরই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল খাদ্য অধিদফতরের সংগ্রহ বিভাগ অভ্যন্তরীণ আমন ২০২৪-২৫ মৌসুমে চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি সম্পাদন করেনি এমন চালকলের খাদ্য বিভাগীয় লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশনা প্রদান করে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক জেলার ৩১৬টি চালকলের মিল এবং খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করে খাদ্য বিভাগ।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন না করায় দিনাজপুরের ৩১৬টি চালকল ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। বাতিল করা চালকলের মধ্যে ২৯৬টি সেদ্ধ ও ২০টি আতপ চালকল রয়েছে। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, লাইসেন্স বাতিল করা মিলগুলো ধান থেকে চাল উৎপাদন কার্যক্রম, চাল বাজারজাতকরণ ও মিলে ধান-চাল মজুত করতে পারবে না।

এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে ধান-চাল সরকারি খাতে বাজেয়াপ্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট চালকল মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব সেদ্ধ চালকলের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৪০, বিরল উপজেলায় ৪, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৬০, কাহারোল উপজেলায় ১৫, বীরগঞ্জ উপজেলায় ১১, খানসামা উপজেলায় ৪, চিরিরবন্দর উপজেলায় ৩৩টি চালকল, পার্বতীপুর উপজেলায় ১৬, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৪০, বিরামপুর উপজেলায় ৭, হাকিমপুর উপজেলায় ২, নবাবগঞ্জ ২৮, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৩৭টি চালকল রয়েছে। আর যে ২০টি আতপ চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১৯ ও চিরিরবন্দর উপজেলার একটি চালকল রয়েছে। জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে এই জেলায় সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ৮০৬ মেট্রিক টন।

এ ছাড়া ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন। সরকারের এই অভিযানে ধান-চাল সরবরাহের জন্য জেলার ৯১১টি সিদ্ধ চালকল এবং ৮৩টি আতপ চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সংগ্রহ অভিযান চলে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিল থেকে ৪৮ হাজার ৭২৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ১১ হাজার ৩০৬ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন আপত চাল ও ২ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ সেদ্ধ চাল, ৯৬ শতাংশ আতপ চাল ও ১৩ শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। এরই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল খাদ্য অধিদফতরের সংগ্রহ বিভাগ অভ্যন্তরীণ আমন ২০২৪-২৫ মৌসুমে চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি সম্পাদন করেনি এমন চালকলের খাদ্য বিভাগীয় লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশনা প্রদান করে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক জেলার ৩১৬টি চালকলের মিল এবং খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করে খাদ্য বিভাগ।