ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে যমজ শিশুর জন্ম

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আগের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনের এক দম্পতির ঘরে এসেছে ৩০ বছর আগে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া যমজ শিশু। ১৯৯২ সালে এই ভ্রূণ দান করেছিলেন আরেক দম্পতি। এর আগে ২০২০ সালে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে মলি গিবসন নামের এক শিশুর জন্ম হয়। ওই ভ্রূণ ২৭ বছর আগে হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল। অরিগনের যমজ শিশু দুটিকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী শিশু।’ গত ৩১ অক্টোবর র‌্যাচেল রিজওয়ে ও ফিলিপ রিজওয়ের ঘরে আসা শিশু দুটির একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। খবর সিএনএন–এর।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু দুটির নাম রাখা হয়েছে লিডিয়া ও টিমোথি রিজওয়ে। জন্মের সময় লিডিয়ার ওজন ছিল আড়াই কেজি আর টিমোথির ওজন ২ দশমিক ৯২ কেজি। আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে শিশু জন্ম দেওয়ার পর ভ্রূণ অতিরিক্ত থেকে গেলে অজ্ঞাত এক দম্পতির পক্ষ থেকে তা দান করা হয়। আইভিএফ বা টেস্টটিউব পদ্ধতি হচ্ছে মানবদেহের বাইরে গর্ভধারণের পদ্ধতি। ১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ওই ভ্রূণ ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরে ২০০৭ সাল থেকে ওয়েস্ট কোস্টের একটি পরীক্ষাগারে এ ভ্রূণ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ১৫ বছর পরে লিডিয়া ও টিমোথির জন্ম। রিজওয়ে দম্পতির আগেই ৮, ৬, ৩ ও ২ বছর বয়সী চার সন্তান রয়েছে। তাঁরা হিমায়িত ভ্রূণ ব্যবহার করে আরও সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রিজওয়ে দম্পতি সিএনএনকে বলেন, ‘সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত হয়ে আছে, এমন কোনো ভ্রূণ আমরা খুঁজিনি। কিন্তু যা ঘটেছে তা অসাধারণ। একদিকে তারা আমাদের ছোট শিশু হলেও বয়সের হিসাবে সবচেয়ে বেশি বয়সী শিশু তারা।’ ফিলিপ বলেন, ‘লিডিয়া ও টিমোথির মধ্যে যখন প্রাণ এসেছিল, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। তার পর থেকে ঈশ্বর তাদের জীবন সংরক্ষণ করেছেন।’
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিশেষজ্ঞ এলেন এস গ্লেজার বলেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে সৃষ্ট অসংখ্য ভ্রূণের ভবিষ্যতের পাঁচটি পথ আছে। এগুলো হচ্ছে—তা নষ্ট করে ফেলা, মা–বাবা আরও সন্তান নিতে পারেন, বৈজ্ঞানিক কাজে ভ্রূণ দান করা, অন্য কোনো দম্পতিকে তা দান করা এবং এগুলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির ডাক প্রাথমিক শিক্ষকদের

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে যমজ শিশুর জন্ম

আপডেট সময় : ১১:৪১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : আগের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনের এক দম্পতির ঘরে এসেছে ৩০ বছর আগে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া যমজ শিশু। ১৯৯২ সালে এই ভ্রূণ দান করেছিলেন আরেক দম্পতি। এর আগে ২০২০ সালে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে মলি গিবসন নামের এক শিশুর জন্ম হয়। ওই ভ্রূণ ২৭ বছর আগে হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল। অরিগনের যমজ শিশু দুটিকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী শিশু।’ গত ৩১ অক্টোবর র‌্যাচেল রিজওয়ে ও ফিলিপ রিজওয়ের ঘরে আসা শিশু দুটির একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। খবর সিএনএন–এর।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশু দুটির নাম রাখা হয়েছে লিডিয়া ও টিমোথি রিজওয়ে। জন্মের সময় লিডিয়ার ওজন ছিল আড়াই কেজি আর টিমোথির ওজন ২ দশমিক ৯২ কেজি। আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতিতে শিশু জন্ম দেওয়ার পর ভ্রূণ অতিরিক্ত থেকে গেলে অজ্ঞাত এক দম্পতির পক্ষ থেকে তা দান করা হয়। আইভিএফ বা টেস্টটিউব পদ্ধতি হচ্ছে মানবদেহের বাইরে গর্ভধারণের পদ্ধতি। ১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ওই ভ্রূণ ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরে ২০০৭ সাল থেকে ওয়েস্ট কোস্টের একটি পরীক্ষাগারে এ ভ্রূণ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ১৫ বছর পরে লিডিয়া ও টিমোথির জন্ম। রিজওয়ে দম্পতির আগেই ৮, ৬, ৩ ও ২ বছর বয়সী চার সন্তান রয়েছে। তাঁরা হিমায়িত ভ্রূণ ব্যবহার করে আরও সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রিজওয়ে দম্পতি সিএনএনকে বলেন, ‘সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত হয়ে আছে, এমন কোনো ভ্রূণ আমরা খুঁজিনি। কিন্তু যা ঘটেছে তা অসাধারণ। একদিকে তারা আমাদের ছোট শিশু হলেও বয়সের হিসাবে সবচেয়ে বেশি বয়সী শিশু তারা।’ ফিলিপ বলেন, ‘লিডিয়া ও টিমোথির মধ্যে যখন প্রাণ এসেছিল, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। তার পর থেকে ঈশ্বর তাদের জীবন সংরক্ষণ করেছেন।’
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিশেষজ্ঞ এলেন এস গ্লেজার বলেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে সৃষ্ট অসংখ্য ভ্রূণের ভবিষ্যতের পাঁচটি পথ আছে। এগুলো হচ্ছে—তা নষ্ট করে ফেলা, মা–বাবা আরও সন্তান নিতে পারেন, বৈজ্ঞানিক কাজে ভ্রূণ দান করা, অন্য কোনো দম্পতিকে তা দান করা এবং এগুলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া।