ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

৩০০ আসনে প্রার্থীর নাম জানালো সম্মিলিত মহাজোট

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০ আসনে ৬০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত মহাজোট। জোটের একমাত্র নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের অধীনে ডাব প্রতীকে নির্বাচন করবে সম্মিলিত মহাজোট।
গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় সম্মিলিত মহাজোটের প্রার্থী পরিচিত ও ঘোষণা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনেই প্রার্থীতার ঘোষণা দেন সম্মিলিত মহাজোটের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন। অনুষ্ঠানে সম্মিলিত মহাজোটের নেতা ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আজ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের মহাজোট থেকে ৬০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রার্থী যাচাই-বাছাই চলবে। তিনি আরও বলেন, দেশ বাঁচাতে হলে আমাদের হাতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে। তাই এ দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিজ দায়িত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগামীতে একত্রে অংশ নেওয়া ছাড়াও সম্মিলিত মহাজোট দেশ ও জনগণের স্বার্থে এবং জাতীয় সংকট নিরসনে যৌথভাবে কর্মসূচি দেবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য মহাজোটের প্রার্থীরা স্ব স্ব আসনে কাজ করবেন। এসময় স্বাধীন জোটের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর্জা আজমের সঞ্চালনায় মহাজোটের প্রার্থীতা ঘোষণাকালে জাতীয় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের সদস্য সচিব আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম আশিক বিল্লাহসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
‘ভোটের পার্সেন্টেজ’ বাড়াতে নির্বাচনে যাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বড় প্রত্যাশা নেই, তবে দলের পরিচিতি ও ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতেই নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই দলটি ‘আম’ প্রতীক নিয়ে নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালে। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ নির্বাচনে অংশ নিয়েও কোনও আসনে জয় আসেনি। ২০১২ সালের বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোটে যুক্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে বিরত থাকে দলটি। পরে জোট থেকে বেরিয়ে ২০১৮-এর নির্বাচনে অংশ নেন এনপিপি। এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদে যেতে না পারলেও ভোটার সংখ্যা ও দলীয় কার্যকলাপ বেড়েছে বলে দাবি করছেন এনপিপির শীর্ষ নেতারা। আগামীতে তাদের জনসমর্থন আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের। নেতারা বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে অন্যান্য দলের জনপ্রিয়তা কম। তাই দলের কার্যক্রম ও পরিচিতি বাড়াতে নিয়মিত নির্বাচনের মাঠে থাকা জরুরি। নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩৩টি আসনে প্রতিযোগিতা করে ১০ হাজার ৩৪৮টি ভোট পায়, যা মোট ভোটের শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ (০.০১)। ২০১২ সালের নির্বাচনে দলটি ৮৩টি আসনে প্রার্থী দেয়, তবে একটিতেও জয়ের দেখা মেলেনি। তবে ভোটের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩৬ হাজার ৬১১টি, যা মোট ভোটের শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ (০.০৪)। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নেবে দলটি। এবার ২৫০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন সালু। তবে নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শেখ ছালাউদ্দিন সালু বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আমাদের ৩৫২টার মতো মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। শনিবারের মধ্যে আমরা ফাইনাল করবো। ৩০০ আসনে হয়তো হবে না, শেষ পর্যন্ত তবে ২৫০ থেকে ২৬০টি আসনে প্রার্থী দেবো। এনপিপি বড় হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভোটাররা মোটা দাগে দুই ভাগে বিভক্তÑআওয়ামী লীগ না হলে বিএনপি। আরও কিছু পরিচিত দল আছে যাদের ভোটার রয়েছে। সে হিসেবে আমাদের দল প্রথম দাঁড়িয়েছিল ৩৩টি আসনে। পরের নির্বাচনে ৮৩টি আসনে। এবার ২৬০টি আসনে প্রার্থী দেবো। দল আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় কমিটি আছে। এখন দেখা যাক কী হয়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

৩০০ আসনে প্রার্থীর নাম জানালো সম্মিলিত মহাজোট

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০ আসনে ৬০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত মহাজোট। জোটের একমাত্র নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের অধীনে ডাব প্রতীকে নির্বাচন করবে সম্মিলিত মহাজোট।
গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় সম্মিলিত মহাজোটের প্রার্থী পরিচিত ও ঘোষণা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনেই প্রার্থীতার ঘোষণা দেন সম্মিলিত মহাজোটের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন। অনুষ্ঠানে সম্মিলিত মহাজোটের নেতা ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আজ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের মহাজোট থেকে ৬০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রার্থী যাচাই-বাছাই চলবে। তিনি আরও বলেন, দেশ বাঁচাতে হলে আমাদের হাতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে। তাই এ দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিজ দায়িত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগামীতে একত্রে অংশ নেওয়া ছাড়াও সম্মিলিত মহাজোট দেশ ও জনগণের স্বার্থে এবং জাতীয় সংকট নিরসনে যৌথভাবে কর্মসূচি দেবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য মহাজোটের প্রার্থীরা স্ব স্ব আসনে কাজ করবেন। এসময় স্বাধীন জোটের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর্জা আজমের সঞ্চালনায় মহাজোটের প্রার্থীতা ঘোষণাকালে জাতীয় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের সদস্য সচিব আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম আশিক বিল্লাহসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
‘ভোটের পার্সেন্টেজ’ বাড়াতে নির্বাচনে যাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বড় প্রত্যাশা নেই, তবে দলের পরিচিতি ও ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়াতেই নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই দলটি ‘আম’ প্রতীক নিয়ে নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালে। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ নির্বাচনে অংশ নিয়েও কোনও আসনে জয় আসেনি। ২০১২ সালের বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোটে যুক্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে বিরত থাকে দলটি। পরে জোট থেকে বেরিয়ে ২০১৮-এর নির্বাচনে অংশ নেন এনপিপি। এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদে যেতে না পারলেও ভোটার সংখ্যা ও দলীয় কার্যকলাপ বেড়েছে বলে দাবি করছেন এনপিপির শীর্ষ নেতারা। আগামীতে তাদের জনসমর্থন আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের। নেতারা বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে অন্যান্য দলের জনপ্রিয়তা কম। তাই দলের কার্যক্রম ও পরিচিতি বাড়াতে নিয়মিত নির্বাচনের মাঠে থাকা জরুরি। নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩৩টি আসনে প্রতিযোগিতা করে ১০ হাজার ৩৪৮টি ভোট পায়, যা মোট ভোটের শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ (০.০১)। ২০১২ সালের নির্বাচনে দলটি ৮৩টি আসনে প্রার্থী দেয়, তবে একটিতেও জয়ের দেখা মেলেনি। তবে ভোটের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩৬ হাজার ৬১১টি, যা মোট ভোটের শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ (০.০৪)। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নেবে দলটি। এবার ২৫০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন সালু। তবে নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শেখ ছালাউদ্দিন সালু বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আমাদের ৩৫২টার মতো মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। শনিবারের মধ্যে আমরা ফাইনাল করবো। ৩০০ আসনে হয়তো হবে না, শেষ পর্যন্ত তবে ২৫০ থেকে ২৬০টি আসনে প্রার্থী দেবো। এনপিপি বড় হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভোটাররা মোটা দাগে দুই ভাগে বিভক্তÑআওয়ামী লীগ না হলে বিএনপি। আরও কিছু পরিচিত দল আছে যাদের ভোটার রয়েছে। সে হিসেবে আমাদের দল প্রথম দাঁড়িয়েছিল ৩৩টি আসনে। পরের নির্বাচনে ৮৩টি আসনে। এবার ২৬০টি আসনে প্রার্থী দেবো। দল আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় কমিটি আছে। এখন দেখা যাক কী হয়।