স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: চোখের লেন্সের দামে স্বচ্ছতা আনতে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এতে নতুন ২৯টি নিবন্ধিত কোম্পানির মোট ১২৯টি লেন্সের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সব হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে লেন্সের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে, যেন সাধারণ জনগণ সহজেই দাম জানতে পারে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এর ৩০(১) ধারা মোতাবেক ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কিছু প্রতিষ্ঠানকে চোখের লেন্স (ইন্ট্রাওকুলার লেন্স) বিক্রির রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে। এ ধরনের লেন্স ব্যবহারকারী হাসপাতালকে কিছু নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চোখের লেন্স ব্যবহারকারী সব হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে ইন্ট্রাওকুলার লেন্সের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে হবে। এ ধরনের লেন্সের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য (এমআরপি) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। লেন্সের নাম, সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ও লেন্স উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখ করে পৃথক ক্যাশ মেমো দিতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ফ্যাকো সার্জারির পর ব্যবহৃত লেন্সের প্যাকেট রোগীকে সরবরাহ করতে হবে। চোখের লেন্সের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদক দেশ ও সর্বোচ্চ খুচরামূল্য উল্লেখ করতে হবে। চক্ষু সার্জনদের ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা থাকতে হবে। এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. নুরুল আলম বলেন, ‘চোখের লেন্সের বাজারে দীর্ঘদিন একটা নৈরাজ্য বিরাজ করছিল। সরকার ১২৯টি লেন্সের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে মানুষ এখন ন্যায্য মূল্যে লেন্স পাবে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ নির্ধারিত দামের বেশি মূল্য দাবি করলে বা নিলে তার দুই বছরের কারাদ- বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। ঔষধ ও কসমেটিক আইন ২০২৩ এ এই ধরনের বিধান রয়েছে।’ এতে উল্লেখিত বিষয়গুলো নজরদারির জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একটি মনিটরিং কমিটি রয়েছে বলেও জানান নুরুল আলম।