ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ

  • আপডেট সময় : ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকা চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের ফল প্রকাশ হতে পারে যেকোনো সময়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে এখন শুধু শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হ্যাঁ সূচক জবাবের অপেক্ষায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বৃহস্পতিবার এ ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, আগামীকাল চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করতে পারব।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, রোববার সব জটিলতা শেষ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠায় এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার অনুমতি পাওয়ার পর ফাইলটি এখন মন্ত্রীর টেবিলে। মন্ত্রী হ্যাঁ সূচক জবাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এনটিআরসিএ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, আইনি জটিলতা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছি আমরা। অনুমতি দিলেই যেকোনো সময় ফল প্রকাশ করতে পারব। সেটি আজকেও (গতকাল বুধবার) প্রকাশ করতে আমাদের সমস্যা হবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লক্ষাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকট দূর করতে ২০২২ সালে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৮ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে মাত্র ৩২ হাজার শিক্ষককে প্রাথমিক সুপারিশ দেওয়া সম্ভব হয়। এর মধ্যে ২৮ হাজার প্রার্থী ভি-রোল ফর্ম পূরণ করেন। তবে সনদ যাচাই এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানোয় চূড়ান্ত সুপারিশ প্রক্রিয়ায় ধীরগতি এসেছে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী আদালতে রিট করলে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশে নতুন সংকট তৈরি হয়। পরে সে সংকট কাটিয়ে এখন চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষা। নিয়োগ প্রত্যাশীরা জানান, স্কুল-কলেজে শিক্ষক সংকটের কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবার চূড়ান্ত সুপারিশ না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর। প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ১২ মার্চ। ৬৫ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়। এর পর ১ম থেকে ৫ম নিবন্ধন প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই, আইসিটি পদের প্রার্থীদের সনদ যাচাই, সহকারী মৌলভী প্রার্থীদের সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই, সহকারী মৌলভী ও আইসিটি পদ ব্যতীত অবশিষ্ট প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই, অনলাইন পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দাখিল করার সময় বৃদ্ধি করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ আবেদন নেওয়া শেষ হওয়ার পরেও ৯০০ এর বেশি প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণে ভুল করায়, আবারও সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ

আপডেট সময় : ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকা চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের ফল প্রকাশ হতে পারে যেকোনো সময়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে এখন শুধু শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হ্যাঁ সূচক জবাবের অপেক্ষায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বৃহস্পতিবার এ ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, আগামীকাল চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করতে পারব।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, রোববার সব জটিলতা শেষ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠায় এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার অনুমতি পাওয়ার পর ফাইলটি এখন মন্ত্রীর টেবিলে। মন্ত্রী হ্যাঁ সূচক জবাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এনটিআরসিএ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, আইনি জটিলতা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছি আমরা। অনুমতি দিলেই যেকোনো সময় ফল প্রকাশ করতে পারব। সেটি আজকেও (গতকাল বুধবার) প্রকাশ করতে আমাদের সমস্যা হবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লক্ষাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকট দূর করতে ২০২২ সালে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৮ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে মাত্র ৩২ হাজার শিক্ষককে প্রাথমিক সুপারিশ দেওয়া সম্ভব হয়। এর মধ্যে ২৮ হাজার প্রার্থী ভি-রোল ফর্ম পূরণ করেন। তবে সনদ যাচাই এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানোয় চূড়ান্ত সুপারিশ প্রক্রিয়ায় ধীরগতি এসেছে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী আদালতে রিট করলে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশে নতুন সংকট তৈরি হয়। পরে সে সংকট কাটিয়ে এখন চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষা। নিয়োগ প্রত্যাশীরা জানান, স্কুল-কলেজে শিক্ষক সংকটের কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবার চূড়ান্ত সুপারিশ না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর। প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ১২ মার্চ। ৬৫ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়। এর পর ১ম থেকে ৫ম নিবন্ধন প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই, আইসিটি পদের প্রার্থীদের সনদ যাচাই, সহকারী মৌলভী প্রার্থীদের সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই, সহকারী মৌলভী ও আইসিটি পদ ব্যতীত অবশিষ্ট প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই, অনলাইন পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দাখিল করার সময় বৃদ্ধি করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ আবেদন নেওয়া শেষ হওয়ার পরেও ৯০০ এর বেশি প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণে ভুল করায়, আবারও সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।