বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অভিনেতা জাহিদ হাসান ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের দীর্ঘ গল্প উদাহরণ হয়ে আছে ভক্ত ও সহকর্মীদের কাছে। ১৯৯৭ সালে তারা বিয়ে করেন। প্রায় ২৮ বছর ধরে একসঙ্গে পথ চলছেন জনপ্রিয় দুই তারকা।
তবে শোবিজের অনুষ্ঠানে কিংবা সামাজিক পরিসরে তাদের একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না। এই অনুপস্থিতি থেকেই গুঞ্জন ওঠে ভালো নেই তাদের দাম্পত্য জীবন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে চলে নানা আলোচনা।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসব গুঞ্জনের জবাব দিলেন জাহিদ হাসান। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, সংসারে কোনো সমস্যা নেই। বরং তারা পরম সুখেই আছেন।
অভিনেতার ভাষায়, আমরা ভালো আছি। কিছু মানুষ আছে যাদের সবসময় কিছু না কিছু বের করতে হয়। তাই তারা এমন গল্প বানায়। মৌ আমার সবকিছু দেখাশোনা করে। রান্না করে খাওয়ায়ও। সত্যি বলতে কী, আমি মায়ের মতো একটা স্ত্রী পেয়েছি।
স্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে খানিকটা আবেগীও হয়ে ওঠেন জাহিদ। বলেন, আমাদের কখনো ইগোর লড়াই হয় না। কারণ, মৌ আমার চেয়ে অনেক ভালো মানুষ।
একসঙ্গে কোথাও না যাওয়ার বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা দেন, মানুষ যা বলে, সেটা একদিক দিয়ে ঠিকই। আমরা একসঙ্গে কোথাও খুব একটা যাই না। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণেই এমনটা হয়। নিজের ভাইয়ের বিয়েতেও যেতে পারিনি আমি। কারণ সেদিন নাটকের শো ছিল বরিশালে। এখনো যদি কোনো ক্লাবে যাই, আড্ডা শেষ করে বের হতে ইচ্ছাই করে না। তাই অনুষ্ঠানে মৌ-ই একা যায়।
কথোপকথনে উঠে আসে তার অতীত প্রেমের প্রসঙ্গও। জাহিদ জানান, তার সাবেক প্রেমিকার কথা মৌ জানেন এবং সেটা নিয়ে মাঝেমধ্যেই মজা করেন। জাহিদের ভাষায়, আমার আগের সম্পর্কের কথা পরিবারও জানে। মৌ একদিন মজা করে বলল, এগুলো ফেলে রেখেছো কেন, যত্ন করে রাখো। তখন ওর হাতে ছিল অনেকগুলো চিঠি।
অতীতে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন জাহিদ। একসঙ্গে অভিনয় করেছেন বহু নাটকে। তবে সম্পর্ক ভাঙার পর আর কখনো একসঙ্গে কাজ করেননি। এখন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও দু’জনের মধ্যে কোনো কথা হয় না।
তবে সাবেক প্রেমিকাকে নিয়ে কোনো কটু কথা বলতে চান না জাহিদ হাসান। বলেন, তাকে নিয়ে কিছু বললে অসম্মান করা হয়, সেটা চাই না। আমি তাকে একসময় ভালোবেসেছিলাম। আমার মতো সেও ভালো আছে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
জাহিদ-মৌ দম্পতির দুই সন্তান। তাদের বড় মেয়ের নাম জোহায়রা জাহিদ পুষ্পিতা। ছোট সন্তান জারিফ জাহিদ সাইম। দুজনেই পড়াশোনা করছেন।
এসি/