ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

২৭ ধরনের ব্যবসায় ডিজিটাল চালান বাধ্যতামূলক

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

 ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভ্যাট ফাঁকি রোধ ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে দেশের ২৭ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাট স্মার্ট চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন এলাকা ও জেলা শহরের খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের এসব প্রতিষ্ঠানকে অনতিবিলম্বে ডিজিটাল চালান ব্যবস্থার আওতায় আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাধ্যতামূলক ইএফডি ব্যবহারের আওতায় আসা ব্যবসার মধ্যে রয়েছে— আবাসিক হোটেল, সামাজিক ও ক্রীড়া ক্লাব, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ, তৈরি পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র, ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক গৃহস্থালি সামগ্রীর দোকান, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, শপিং মল ও মার্কেটের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ছাপাখানা ও বাঁধাই, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টির দোকান, জেনারেল স্টোর, সুপারশপ এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী, আসবাবপত্র বিপণনকেন্দ্র, যান্ত্রিক লন্ড্রি, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, সিকিউরিটি সার্ভিস, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, ভিসা প্রসেসিং ও অনলাইন অ্যাডমিশন-সেবা এবং অন্যান্য ভ্যাটযোগ্য পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রেও ইএফডি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।

রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, ইএফডি, এসডিসি অথবা পিকেআই পিওএস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এতে করে ভ্যাট ফাঁকির সুযোগ কমে আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে এনবিআর।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ঢাকার পাঁচটি ভ্যাট কমিশনারেটে পরীক্ষামূলকভাবে ইএফডি কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর এনবিআর ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়, যার আওতায় ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট থেকে ইএফডি বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম দিকে প্রায় ২৫ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় এবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে আরো জানা গেছে, অনিয়মে জড়িত সফটওয়্যার-সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের।

রাজস্ব বোর্ড ব্যবসায়ীদের দ্রুত ইএফডি ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়ানো যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২৭ ধরনের ব্যবসায় ডিজিটাল চালান বাধ্যতামূলক

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভ্যাট ফাঁকি রোধ ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে দেশের ২৭ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাট স্মার্ট চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন এলাকা ও জেলা শহরের খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের এসব প্রতিষ্ঠানকে অনতিবিলম্বে ডিজিটাল চালান ব্যবস্থার আওতায় আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাধ্যতামূলক ইএফডি ব্যবহারের আওতায় আসা ব্যবসার মধ্যে রয়েছে— আবাসিক হোটেল, সামাজিক ও ক্রীড়া ক্লাব, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ, তৈরি পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র, ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক গৃহস্থালি সামগ্রীর দোকান, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, শপিং মল ও মার্কেটের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ছাপাখানা ও বাঁধাই, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টির দোকান, জেনারেল স্টোর, সুপারশপ এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী, আসবাবপত্র বিপণনকেন্দ্র, যান্ত্রিক লন্ড্রি, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, সিকিউরিটি সার্ভিস, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, ভিসা প্রসেসিং ও অনলাইন অ্যাডমিশন-সেবা এবং অন্যান্য ভ্যাটযোগ্য পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রেও ইএফডি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।

রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, ইএফডি, এসডিসি অথবা পিকেআই পিওএস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এতে করে ভ্যাট ফাঁকির সুযোগ কমে আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে এনবিআর।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ঢাকার পাঁচটি ভ্যাট কমিশনারেটে পরীক্ষামূলকভাবে ইএফডি কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর এনবিআর ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়, যার আওতায় ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট থেকে ইএফডি বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম দিকে প্রায় ২৫ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় এবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে আরো জানা গেছে, অনিয়মে জড়িত সফটওয়্যার-সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের।

রাজস্ব বোর্ড ব্যবসায়ীদের দ্রুত ইএফডি ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়ানো যায়।