নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কুমিল্লার বরুড়ায় উৎপাদিত পানি কচু ও কচুর লতি। এখান থেকে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার টন পানি কচু ও কচুর লতি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে। ইতোমধ্যে কচু আর লতির মাধ্যমে বিদেশে পরিচিত হয়ে উঠেছে বরুড়া উপজেলার নাম। চিটাগং ফ্রেশ ফ্রুটস এন্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি চিটাগং ফুডস ও ভেজিটেবলের স্বত্বাধিকারী মো.ইসমাইল চৌধুরী হানিফ বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে বরুড়ার পানি কচু ও লতি রপ্তানি করছি। ২০১০ সালের পর থেকে ব্যাপক হারে রপ্তানি হচ্ছে এবং প্রতি বছরই বিদেশে এ দু’টি সবজির চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে ২৫টির বেশি দেশে যাচ্ছে। গত ৬ বছরের রপ্তানির একটি তালিকা থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বরুড়ায় উৎপাদিত কচু ও লতি রপ্তানি কার হয়েছে ৯৩০ টন। এর মধ্যে পানি কচু ৪৮০ টন এবং লতি ৪৫০ টন। ২০১৬ সালে মোট রপ্তানি হয়েছে ৯৪৫ টন। এর মধ্যে পানি কচু ৪৭০ টন এবং লতি ৪৭৫ টন। ২০১৭ সালে মোট রপ্তানি হয়েছে ৯৩৫ টন। এর মধ্যে পানি কচু ৪৬৫ টন এবং লতি ৪৭০ টন। ২০১৮ সালে মোট রপ্তানি হয়েছে ৯৪৫ টন। এর মধ্যে পানি কচু ৪৭০ টন এবং লতি ৪৭৫ টন। ২০১৯ সালে মোট রপ্তানি হয়েছে ৯৬৫ টন। এর মধ্যে পানি কচু ৪৮৫ টন এবং লতি ৪৮০ টন এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে মোট রপ্তানি হয়েছে ৯৭৫ টন। এর মধ্যে পানি কচু ৪৯০ টন এবং লতি ৪৮৫ টন। ২০১৫ সালে ৯৩০ টন কচু ও লতি রপ্তানি থেকে পাওয়া গেছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে ৯৪৫ টন কচু ও লতি রপ্তানি থেকে পাওয়া গেছে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে ৯৩৫ টন কচু ও লতি রপ্তানি থেকে পাওয়া গেছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি। ২০১৮ সালে ৯৪৫ টন কচু ও লতি রপ্তানি থেকে পাওয়া গেছে ১৭ লাখ এক হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৯৬৫ টন কচু ও লতি রপ্তানি থেকে পাওয়া গেছে ১৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ২০২০ সালে ৯৭৫ টন কচু ও লতি রপ্তানি থেকে পাওয়া গেছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।