ক্রীড়া ডেস্ক: অন্যের জন্য খোঁড়া গর্তে নিজেকে কিভাবে পড়তে হয়, সেটার উৎকৃষ্ট মঞ্চায়ন চলছে মুলতানে। স্পিন স্বর্গ বানিয়েছিলো পাকিস্তানিরা। নোমান আলি, সাজিদ খান, আবরার আহমেদদের হাতে বল ঘোরানোর জন্য মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটকে বানানো হয়েছিলো পুরোপুরি স্পিন নির্ভর করে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলতে গিয়ে উল্টো নিজেরাও দারুণ বিপদে এখন পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, হারের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে শান মাসুদের দলের মধ্যে।
গত দুই দিনে মুলতান টেস্টে পড়েছে সব মিলিয়ে ৩৪ উইকেট। প্রথমদিন পড়েছে ২০ উইকেট। দ্বিতীয় দিন পড়লো ১৪ উইকেট। এর মধ্যে দ্বিতীয ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে। প্রথম ইনিংসেই ৯ রানে পিছিয়ে পড়েছিলো পাকিস্তান। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড দাঁড়ায় ২৫৩ রান। জয়ের জন্য ২৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ৭১ রানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। একে একে বিদায় নিয়েছেন শান মাসুদ, মুহাম্মদ হুরাইরা, বাবর আজম এবং কামরান গুলাম। এর মধ্যে বাবর আজম করেন সর্বোচ্চ ৩১ রান।
দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৬। সউদ শাকিল ১৩ এবং কাসিফ আলি ব্যাট করছেন ১ রান নিয়ে। এখনও ১৭৮ রান করতে হবে পাকিস্তানকে। হাতে আছে মাত্র ৬ উইকেট। ক্যারিবীয় স্পিনার কেভিন সিনক্লেয়ার ২টি এবং গুদাকেশ মোতি ও জোমেল ওয়ারিকান নেন ১টি করে উইকেট। এর আগে দিনের শুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যথারীতি স্পিনে নাকাল হয়। তবে ওপেনার, অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ৫২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২৪৪ রান করতে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা। শেষের দিকে টেভিন ইমলাক করেন ৩৫ রান। ৩০ রান করেন আমির জাঙ্গু। ১৮ রান করে সংগ্রহ করেন গুদাকেশ মোতি ও জোমেল ওয়ারিকান। পাকিস্তানের নোমান আলি ও সাজিদ খান নেন ৪টি করে উইকেট। কাসিফ আলি ও আবরার আহমেদ নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে নোমান আলির হ্যাটট্রিকসহ শিকার করেন ৬ উইকেট। ১৬৩ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গুদাকেশ মোতি করেছিলেন ৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে উল্টো স্পিন আক্রমণের শিকার হয় পাকিস্তান। তারা অলআউট হয়ে যায় ১৫৪ রানে। মোতি ৩টি, জোমেল ওয়ারিকান ৪টি এবং কেমার রোচ নেন ২ উইকেট।