ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

২৩ বছর ধরে টয়লেট পেপার খাচ্ছেন যে নারী

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : ইট-বালু খেয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? ৩০ বছর ধরে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হানস রাজ এমনই অদ্ভুত কাজ করে আসছেন। আবার একেবারে পানি না খেয়েও দীর্ঘদিন পর্যন্ত সুস্থভাবে বেছে ছিলেন ভারতের গিরি বালা। তবে এবার জানা গেলো এক নারীর কথা, যিনি ২৩ বছর ধরে কাগজ, টয়লেট পেপার খেয়েই বেঁচে আছেন।
শিকাগো শহরের বাসিন্দা কেশা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কাগজ খেয়ে চলেছেন। টয়লেট পেপারই বেশি পছন্দ তার। তবে অন্য কাগজেও আপত্তি নেই। হাতের কাছে কাগজ পেলেই মুখে পুরে দেন কেশা। তারপর আরাম করে চিবোতে থাকেন। কাগজ খাওয়ার মতো শান্তি নাকি আর নেই, এমনটাই মনে করেন কেশা। দিনে অন্তত ৭৫টি টয়লেট পেপার শেষ করেন যুবতী। অন্য খাবারে যে রুচি নেই তা নয়, পুষ্টিকর সবই খান। কেশা আর পাঁচজনের মতো সাধারণ জীবনই কাটান। কিন্তু এই অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না। বর্তমানে কেশার বয়স ৩৫ বছর। কাগজ খাওয়া একটি মানসিক রোগ, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে জাইলোফ্যাগিয়া। এই রোগে যারা ভুগছেন, তারা শুধু কাগজ খেয়ে আনন্দ পান। দিনভর কাগজ খেয়েই যান। এমন রোগীরা কেউ স্বাভাবিক জীবনে থেকেই এমন বদভ্যাসের শিকার হন, আবার কেউ চরম মানসিক স্থিতিতে এমন অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেন। এছাড়াও ইটিং ডিসঅর্ডারে যারা ভুগছেন তারা বিভিন্ন ধরনের জিনিস খান। এই ডিসঅর্ডার এমন এক অবস্থা যেখানে অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস খাওয়ার নেশা তৈরি হয়। যেমন-কেউ পেনসিল টিবিয়ে সুখ পান, কেউ কাগজ খান, কেউ কাঠের টুকরো, বাঁশের টুকরা বা ধাতব জিনিস গিলে ফেলতে পছন্দ করেন। আবার দেখা যায় ধারালো জিনিসও গিলে ফেলছেন অনেকে। বর্তমানে কেশা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কিম ডেনিসের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন। মনোবিদরা বলছেন, এমন ধরনের ইটিং ডিসঅর্ডার থাকলে রোগী নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। ক্ষুধা কমে যাওয়া, বদহজম, পেটের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, মলের সঙ্গে রক্তপাত, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া তাছাড়া প্রচ- ক্লান্তি, অবসাদ, মুড সুয়িংয়ের মতো মানসিক সমস্যা তো আছেই। দীর্ঘদিন কাউন্সেলিং করলে রোগীর অবস্থা উন্নত হয়। থেরাপি চলার সময়ে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণেও রাখতে হয় রোগীকে। সেরে যাওয়ার পরেও আবার বদভ্যাস ফিরে আসছে কি না, সেদিকেও নজর রাখতে হয় চিকিৎসকদের। সূত্র: দ্য সান

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২৩ বছর ধরে টয়লেট পেপার খাচ্ছেন যে নারী

আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : ইট-বালু খেয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? ৩০ বছর ধরে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হানস রাজ এমনই অদ্ভুত কাজ করে আসছেন। আবার একেবারে পানি না খেয়েও দীর্ঘদিন পর্যন্ত সুস্থভাবে বেছে ছিলেন ভারতের গিরি বালা। তবে এবার জানা গেলো এক নারীর কথা, যিনি ২৩ বছর ধরে কাগজ, টয়লেট পেপার খেয়েই বেঁচে আছেন।
শিকাগো শহরের বাসিন্দা কেশা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কাগজ খেয়ে চলেছেন। টয়লেট পেপারই বেশি পছন্দ তার। তবে অন্য কাগজেও আপত্তি নেই। হাতের কাছে কাগজ পেলেই মুখে পুরে দেন কেশা। তারপর আরাম করে চিবোতে থাকেন। কাগজ খাওয়ার মতো শান্তি নাকি আর নেই, এমনটাই মনে করেন কেশা। দিনে অন্তত ৭৫টি টয়লেট পেপার শেষ করেন যুবতী। অন্য খাবারে যে রুচি নেই তা নয়, পুষ্টিকর সবই খান। কেশা আর পাঁচজনের মতো সাধারণ জীবনই কাটান। কিন্তু এই অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না। বর্তমানে কেশার বয়স ৩৫ বছর। কাগজ খাওয়া একটি মানসিক রোগ, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে জাইলোফ্যাগিয়া। এই রোগে যারা ভুগছেন, তারা শুধু কাগজ খেয়ে আনন্দ পান। দিনভর কাগজ খেয়েই যান। এমন রোগীরা কেউ স্বাভাবিক জীবনে থেকেই এমন বদভ্যাসের শিকার হন, আবার কেউ চরম মানসিক স্থিতিতে এমন অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেন। এছাড়াও ইটিং ডিসঅর্ডারে যারা ভুগছেন তারা বিভিন্ন ধরনের জিনিস খান। এই ডিসঅর্ডার এমন এক অবস্থা যেখানে অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস খাওয়ার নেশা তৈরি হয়। যেমন-কেউ পেনসিল টিবিয়ে সুখ পান, কেউ কাগজ খান, কেউ কাঠের টুকরো, বাঁশের টুকরা বা ধাতব জিনিস গিলে ফেলতে পছন্দ করেন। আবার দেখা যায় ধারালো জিনিসও গিলে ফেলছেন অনেকে। বর্তমানে কেশা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কিম ডেনিসের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন। মনোবিদরা বলছেন, এমন ধরনের ইটিং ডিসঅর্ডার থাকলে রোগী নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। ক্ষুধা কমে যাওয়া, বদহজম, পেটের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, মলের সঙ্গে রক্তপাত, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া তাছাড়া প্রচ- ক্লান্তি, অবসাদ, মুড সুয়িংয়ের মতো মানসিক সমস্যা তো আছেই। দীর্ঘদিন কাউন্সেলিং করলে রোগীর অবস্থা উন্নত হয়। থেরাপি চলার সময়ে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণেও রাখতে হয় রোগীকে। সেরে যাওয়ার পরেও আবার বদভ্যাস ফিরে আসছে কি না, সেদিকেও নজর রাখতে হয় চিকিৎসকদের। সূত্র: দ্য সান