বিদেশের খবর ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া গতকাল বুধবার সমুদ্রে অন্তত ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্য থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূল থেকে ৬০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবতরণ করেছে। ঘটনাকে ‘আঞ্চলিক দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল। খবর রয়টার্সের। ১৯৪৫ সালে কোরিয়ান উপদ্বীপ বিভক্ত হওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণের জলসীমার কাছে অবতরণ করেছে। এছাড়া উত্তর কোরিয়াও প্রথমবারের মতো একদিনে সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এঘটনায় বিরল বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার বাইরে অবতরণ করলেও এটি উত্তর কোরিয়ার একটি বিতর্কিত আন্তঃকোরীয় সমুদ্রসীমার উত্তর সীমারেখার (এনএলএল) দক্ষিণে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান এনএলএল জুড়ে উত্তর সমুদ্রে তিনটি আকাশ থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। একজন আধিকারিক বলেছেন, অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি এজিএম-৮৪এইচ/কে এসএলএএম-ইআর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মার্কিন তৈরি একটি ‘স্ট্যান্ড-অফ’ নির্ভুল আক্রমণ অস্ত্র যা ৩৬০ কেজি ওয়ারহেডসহ ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।
ইউনের অফিস ‘দ্রুত এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে দক্ষিণের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল উল্লেখ করেছেন যে উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র আজ (দুই কোরিয়ার) বিভাগের পর প্রথমবারের মতো এনএলএলে সীমানায় অনুপ্রবেশ করেছে। এটি আঞ্চলিক দখলের একটি কার্যকর ইঙ্গিত।’
ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণের ভূখ-ের দিকে উড়ে যাচ্ছিল কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন— ‘কঠিনভাবে বলতে গেলে, এটি আমাদের ভূখ-ে অবতরণ করেনি কিন্তু আমাদের এখতিয়ারের অধীন এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন এর অধীনে।’