নরসিংদী সংবাদাদাতা : ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাগহাটায় ‘সোনারগাঁও ফিলিং স্টেশন’ নামে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর এবং এক কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে ২২টি ফিলিং স্টেশনে সেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন ফিলিং স্টেশন মালিকরা। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্সসহ পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো। গত সোমবার (৩ মার্চ ) বিকেল ৫টার পর থেকে বন্ধ রয়েছে ফিলিং স্টেশনগুলো। সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যাসোসিয়েশন নরসিংদী জোন জানায়, দুপুরের আগে গ্যাসের কম চাপের অভিযোগ এনে একটি ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এসময় তারা মহাসড়কের আরও কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ঘটনার পরই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কর্মচারীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফিলিং স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিক পক্ষ। সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যাসোসিয়েশন, নরসিংদী জোনের সাধারণ সম্পাদক ঘোড়াশালের নাজমুল ফিলিং স্টেশনের মালিক নাজমুল হক অভিযোগ করে বলেন, আজ নরসিংদীতে তাদের সোনারগাঁও ফিলিং স্টেশনে দাবি আদায়ের নামে ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে রেন্ট এ কারের চালকরা। গ্যাসের চাপ কম থাকায় ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সিএনজি পাম্পে তারা জড়ো হয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে সিএনজি পাম্প মালিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এজন্য আজ বিকেল ৫টা থেকে জেলার সিএনজি পাম্পগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানানো হয়। এদিকে রেন্ট এ কারের মালিক ও চালকদের দাবি ফিলিং স্টেশনগুলোকে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করতে হবে এবং কন্টিনারে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের দাবি মানছেন না। তাই আজও আমরা নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন থেকে দাবি জানিয়েছি। শিল্প কারখানায় অধিক মুনাফার আশায় প্রাইভেট যানবাহনে গ্যাস না দিয়ে শিল্প কারখানায় বড় কন্টিনারে গ্যাস দিচ্ছে নরসিংদীর সিএনজি পাম্পগুলো। এদিকে হঠাৎ ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো। গ্যাসের জন্য অনেক পাম্পে অ্যাম্বুলেন্স ও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অনেক গাড়ির ড্রাইভার জানান, হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।